কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

তালেবানকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো টাকা নেই পাকিস্তানের: হাসমত ঘানি

 

আফগানিস্তানের সরকার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেও তালেবানকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। তালেবান-প্রশ্নে ভারতের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে এ কথা বলেছেন আফগানিস্তানের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির ভাই হাসমত ঘানি।
তালেবানকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো টাকা নেই পাকিস্তানের: হাসমত ঘানি

আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি নিয়ে তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে কাবুলে এসেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ শাহ কুরেশি। তাই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই হাসমত ঘানি বলেন, সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সরকার গড়া হোক।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনী কাবুল ঘিরে ফেলতেই আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছেন আশরাফ ঘানি। তাই নিয়ে তাকে কড়া সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। তার মাঝেই হাসমতের তালেবানে যোগদান ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।

পরে অবশ্য তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আফগানিস্তানে তালেবানের দখলদারিকে মেনে নিলেও তিনি তালেবান সমর্থক নন। এবার তিনি বললেন, আমরা বরাবর অন্যের যুদ্ধ লড়ে এসেছি। আফগানদের নিজেদের মধ্যেই লড়ে চলেছে। আফগান সরকারকে পাশ কাটাতে সরাসরি তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন ট্রাম্প। যার পরিণাম হিসেবে এখন নিজেদের মধ্যে লড়ছেন আফগানরা।

 

আফগানিস্তানের সরকার পরিচালনায় পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে আফগানিস্তানে বড় ভূমিকা পালন করে পাকিস্তান। কিন্তু তালেবানকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো অত টাকা নেই পাকিস্তানের।

ভারতের উদ্দেশেও হাসমত বলেন, আইএসআইয়ের সঙ্গে ভারত লড়তে চাইলে লড়তেই পারে। কিন্তু আফগানিস্তানকে ব্যবহার করবেন না।

সেই সঙ্গে কাবুলে ফের দূতাবাসের কাজকর্ম শুরু করার ভারতের উদ্দেশে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

কাবুল দখলের পর দেশের অধিকাংশ জায়গায় চলছে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই দখল করে নিয়েছে তালেবান। এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য পঞ্জশির। উত্তর কাবুলের এই উপত্যকা দখলই এখন মূল লক্ষ্য তালেবানের। এরকম এক পরিস্থিতিতে প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির ভাই হাসমত ঘানি তালেবানকে সমর্থন করেছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। তবে হাসমত জানিয়েছে, পরিস্থিতি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তালেবানকে সমর্থন জানাননি।

তালেবানকে সমর্থন জানিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এরকম একটা ভুল কথা প্রচার হচ্ছে। আসল কথা হল আমি তালেবান শাসন মেনে নিয়েছি। কিন্তু তালেবানকে সমর্থন জানাইনি। তাদের সঙ্গে যোগও দিইনি। রক্তপাত এড়াতেই আমি তালেবান শাসন মেনে নিয়েছি। আমার কাছে কোনও চয়েস নেই। ওদের সঙ্গে থেকেই দেশের অর্থনৈতিক ধস থেকে বাঁচাতে হবে। দেশকে রক্তপাত থেকে বাঁচাতে হবে।

দেশ থেকে বিদেশি নাগরিকরা যাতে নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন তা নিয়েও উদ্যাগ নিয়েছেন হাসমত। তিনি বলেন, তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি যাতে মার্কিন সেনা ও নাগরিকরা নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরে যেতে পারেন।

এদিকে জিনিউজকে তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের এয়ার করিডোর নিয়েও আশাপ্রকাশ করেন ঘানি। এক সময় আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের এয়ার করিডোর ছিল। এবার ফের তা গড়ে তুলতে হবে। এতে আফগানিস্তান থেকে পণ্য ভারতে যেতে পারবে। এতে দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে।

পাঠকের মতামত: