কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নানা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর এবার স্বর্ণ ব্যবসায় সাকিব

দেশ সেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নতুন আরেক ব্যবসায় নেমেছেন। সম্প্রতি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পরপরই স্বর্ণের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। সোমবার (২৩ আগস্ট) প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। ‘বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ কোং’ নামে  প্রতিষ্ঠানটি তিনটি জেলায় প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করবে। যদিও সাকিব আল হাসানের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

নিম্নমুখী ব্যাংক সুদে বিনিয়োগ স্বর্ণে

বিজ্ঞাপনে সাকিব আল হাসান উল্লেখ করেন, আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অথবা আপনার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকে দেশে  বৈধভাবে, সঠিকভাবে ওজনের খাঁটি স্বর্ণ আমদানি করতে পারেন অথবা আমদানিকৃত স্বর্ণ ক্রয় করতে পারেন।

সাকিব আল হাসান আরও বলেছেন, স্বর্ণ আমদানি হালাল। স্বর্ণে বিনিয়োগও হালাল। দেশের ব্যাংকিং বিনিয়োগে সুদের হার ক্রমশ; নিম্নগামী, তাই হালাল ও নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ করে নিশ্চিন্তে থাকুন।

২০১৯ সালে নিয়েছেন লাইসেন্স

২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেয়েছে ‘বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ কোং’। ঢাকা, রংপুর ও কুমিল্লা—এই তিন জেলায় অফিস নিয়ে এরইমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশ থেকে সোনার বার ও সোনার অলংকার আমদানিও শুরু করেছেন তারা।

নানা ব্যবসায় নেমেছিলেন সাকিব

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ী হিসেবে হাতেখড়ি সাকিব আল হাসানের। এরপরই দেশের শেয়ার বাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে তার। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন সাকিব আল হাসান।

পূর্ণ সফলতা পায়নি অধিকাংশ ব্যবসা

করোনাকালীন সময়ে সাকিব আল হাসানের কাঁকড়া ও কুঁচের খামার বন্ধ রয়েছে প্রায় ২ বছর। এছাড়া যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত প্রসাধনীর শো রুমও বন্ধ রয়েছে ২ বছর ধরে। সৌদি আরবে হজে গমনরতদের সেবা প্রদানের জন্য সেখানে কিছু হোটেলও ক্রয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের প্রভাবে সেই ব্যবসাতেও ভাল করতে পারেননি তিনি।

চট্টগ্রামের শিকলবাহায় ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার ডুয়াল-ফুয়েলভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে আবেদন করে সাকিব আল হাসানের কনসোর্টিয়াম। যদিও সেটা অনুমোদন পায়নি।  এছাড়া প্রথম রেস্টুরেন্টটি বিক্রি করে দিয়েছেন।

সাড়ে তিনশ কোটি টাকার সম্পদ সাকিবের

নেটওর্থআইডিয়ার মতে, ২০২১ সালে সাকিবের সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৪ কোটি ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে পাওয়া বেতন, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে আয়, পণ্যের দূত হিসেবে আয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসা থেকে আয়ের ভিত্তিতে সাকিব আল হাসানের মোট সম্পদের পরিমাণ হিসাব করেছে ওয়েবসাইটগুলো

প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত পরিবারের কাছে রয়েছেন সাকিব। তবে বেশি দিন থাকা হচ্ছে না। সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামীকাল (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশে পা রাখার কথা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের। সে হিসেবে ক’দিনের মধ্যেই দেশে এসে অনুশীলনে নেমে পড়তে হবে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।

পাঠকের মতামত: