কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ

তবে অধিদপ্তর সতর্ক করেছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবরই স্বাস্থ্যবিধির জায়গাটিকে প্রধান্য দিয়ে আসছে। জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থের বিষয়টি সমন্বয় করে আমরা পরামর্শ দিয়ে আসছি। আমরা আশা করি এই দুটি দিক প্রাধান্য দিলে নিরাপত্তার জায়গাটিতে আশ্বস্ত হতে পারব।

ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে দিলে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রধান্য দেব।

এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে মারা গেছেন আরও ১১৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৬২৭ জনে।

এছাড়া দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৪ হাজার ৯৬৬ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩০ জনে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮০৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৯৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) অধিদপ্তর জানায়, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা শনাক্ত হয় ৫ হাজার ২৪৯ জনের দেহে।

এছাড়া, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন আরও ১০ হাজার ৪২৪ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৪৭৭ জন। টানা কয়েক দিন বিশ্বব্যাপী মৃত্যু কমার পর আবারো বেড়ে গেল।

পাঠকের মতামত: