কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মিরপুরে বিস্ফোরেণে আরও একজনের মৃত্যু

 

 

রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণে ৭ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন রেনু বেগম (৩৭) নামে আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃত্যু হলো ৫ জনের।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি জানান, রেনু বেগমের শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় মৃত্যু হয় রিনা বেগমের (৫০)। ওই রাতেই ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে মৃত্যু হয় রিনার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও গ্যাস লাইনের মিস্ত্রী সুমনের (৪০)।

আর শুক্রবার বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে মারা যান রওশনারা (৭০)। এ ঘটনায় নাজনীন (২৫) ২৭ শতাংশ ও তার মেয়ে শিশু নাওশীন (৫) ১৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে ১১ নম্বর সেকশনের একটি বাসার নিচতলায় গ্যাস রাইজার বিস্ফোরণে শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হয়।

দগ্ধরা হলেন- শফিকুল ইসলাম (৩৫), তার মা রিনা বেগম (৫০), সৎ মা রওশনারা বেগম (৭০), রেনু বেগম (৩৫), পাশের ভবনের ভাড়াটিয়া নাজনীন আক্তার (২৫) ও তার মেয়ে নাওশীন তারান্নুম (৫) এবং প্রতিবেশী সুমন (৪০)।

দগ্ধ শফিকুলের ভাইয়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের, ১১ নম্বর রোড, সি ব্লক, ৯ নম্বর লাইনের ছয়তলা বাড়িটি তাদের নিজেদের। বাড়ির নিচতলায় তিতাস গ্যাসের লাইন লিকেজ ছিল।

দুর্ঘটনার দুইদিন আগেও লিকেজ মেরামত করা হয়। কিন্তু গত বুধবার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বিকট আওয়াজ করে বিস্ফোরণ হয়। এতে তারা দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: