কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কনমেবলের নিয়ম অনুযায়ী ব্রাজিল নয়, আর্জেন্টিনাই পাবে ম্যাচের ৩ পয়েন্ট

 

একে নাটকীয়তা বলবেন? নাকি অন্যকিছু? আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা ব্রাজিলে গিয়ে তিন দিন থাকলেন, অনুশীলন করলেন। হোটেলে সময় কাটালেন। কোয়ারেন্টাইন না মানার জন্য অভিযুক্ত চার খেলোয়াড়কে তখন কিছু না বলে ম্যাচ শুরুর পর কিনা মাঠে গিয়ে হইচই শুরু করলো ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা! ফলাফল, বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি; মেসি-নেইমারদের সকল সমঝোতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে পণ্ড হয়ে গেল ম্যাচ।

ম্যাচ শুরুর আগ থেকেই ছিল গুঞ্জন। ইংল্যান্ডে খেলে আসা আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় ব্রাজিলের কোয়ারেন্টাইন বিধি ভঙ্গ করেছেন এমন অভিযোগে তাদের খেলতে দিতে চায় না ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। আরও সুস্পষ্টভাবে বললে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের তরফ থেকেই মূলত এই আপত্তি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। ওদিকে, লাতিন আমেরিকার আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থা- কনমেবল আর্জেন্টিনাকে আশ্বস্ত করে, খেলতে পারবেন অভিযুক্ত এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, জোভান্নি লো সেলসো, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও ক্রিস্টিয়ান রোমেরো।

এই চারজনের মধ্যে বুয়েন্দিয়া বাদে বাকি তিনজনই আর্জেন্টিনার মূল একাদশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। গত তিন দিন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়া ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তারা কিনা ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় গণ্ডগোলা পাকালেন! অভিযুক্ত চার খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে নিয়ে যেতে চান তারা! এরপর আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত। সেটি গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। তারপর তো ম্যাচই পণ্ড। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, এই ম্যাচের পয়েন্ট পাবে কোন দল?

এ ক্ষেত্রে ব্রাজিল অন্তত কনমেবলের নিয়মকে নিজেদের পক্ষে পাচ্ছে না। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধির ৭৪ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। খেলতে বাধা দেওয়া যাবে না। খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে সেটা মেটাতে হবে ম্যাচ শুরুর আগে বা পরে। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এ নিয়ে বাগড়া দেয়ার সুযোগ নেই। এমনটি হলে যে দলের কারণে ম্যাচ থেমে যাবে, সে দল তিন পয়েন্ট হারাবে। প্রতিপক্ষ দল পাবে সেই তিন পয়েন্ট। এ ক্ষেত্রে সে সুবিধাটা আলবিসেলেস্তেদেরই পাওয়ার কথা । অবশ্য এখন পর্যন্ত পয়েন্ট নিয়ে কনমেবল আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। তারা জানিয়েছে, ম্যাচ রেফারি ও কমিশনার রিপোর্ট জমা দেবেন ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে। বাকি সিদ্ধান্ত ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থারই নেয়ার কথা।

পাঠকের মতামত: