কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজার সৈকতে আজ ভেসে এল আরেকটি লাশ

উত্তাল সাগরে নামতে নিষেধ করে পুরো কক্সবাজার সৈকতে লাল নিশানা ওড়ানো হয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামেন অনেকে। আজ শনিবার দুপুরে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে উত্তাল সাগরে নামতে নিষেধ করে পুরো কক্সবাজার সৈকতে লাল নিশানা ওড়ানো হয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামেন অনেকে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নাজিরারটেক উপকূলে আজ শনিবার দুপুরে আরও এক ব্যক্তির লাশ ভেসে এসেছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তবে এটি কোনো পর্যটকের লাশ বলে ধারণা করছেন লাইফগার্ডের সদস্যরা।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ভেসে আসে আরও দুটি লাশ, তাঁদের পরিচয় মিলেছে। একজন স্থানীয়, অন্যজন পর্যটক।

সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত সি সেফ লাইফগার্ডের সদস্য (সুপারভাইজার) মুহাম্মদ ওসমান বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে লাশটি মহেশখালী চ্যানেল দিয়ে জোয়ারের পানিতে ভেসে নাজিরারটেক উপকূলের দিকে চলে আসে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভেসে আসা ব্যক্তির বয়স ৩০-৩৫ বছর।

বেলা তিনটা পর্যন্ত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি জানিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল দুপুর ও বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা ও সি–গাল পয়েন্টে ভেসে আসে দুজনের লাশ। রাতে দুজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আজ ভেসে আসা লাশটি পর্যটকের বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু কী কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, দুই দিনে তিনজনের লাশ ভেসে আসার কারণ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে। এখন বৈরী পরিবেশে উত্তাল সাগরে নামতে নিষেধ করে পুরো সৈকতে লাল নিশানা ওড়ানো হয়েছে, চলছে বিশেষ প্রচারণা। তারপরও কিছু লোক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে সাগরে নামছে।

পুলিশ ও লাইফগার্ড সূত্র জানায়, গতকাল ভেসে আসা দুজনের একজন হলেন কক্সবাজার শহরের কলাতলীর চন্দ্রিমা এলাকার আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ ইমন এবং অন্যজন যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকার আসাদুজ্জামানের ছেলে নাফিজ কৌশিক। আজ ভেসে আসা লাশটি নাফিজ কৌশিকের সঙ্গে আসা কারোর হতে পারে বলে ধারণা করছেন লাইফগার্ডের সদস্যরা। বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার সমুদ্রে গোসল করতে নেমে তাঁরা নিখোঁজ হতে পারেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

পাঠকের মতামত: