কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দিল্লির ৯০ শতাংশের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি

দিল্লির বাসিন্দাদের অনেকেই নিজেদের অজান্তে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ায় তারা সেরেও উঠেছেন।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ভারতের রাজধানীতে সাম্প্রতিক সেরোলজিক্যাল সার্ভের (আইজি-জি পরীক্ষা) তথ্য বলছে, দিল্লির প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দার দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে ৬ষ্ঠ সেরোলজিক্যাল সার্ভে (সেরো সার্ভে) রিপোর্ট’ প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, দিল্লির অনেক বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সেই সংখ্যাটি কোনো অবস্থাতেই ৮৫ শতাংশের কম নয়।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের সেরো সমীক্ষাতেও অধিকাংশ মানুষের দেহেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে বলে দেখা গেছে। গত বছর জুলাই মাসে দিল্লিতে করোনা সংক্রান্ত ‘প্রথম সেরোলজিক্যাল সার্ভে রিপোর্ট’ জানিয়েছিল, দিল্লির অন্তত ২২ দশমিক ৬ শতাংশ বাসিন্দার দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

তার এক মাস পরে দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, সেখানকার এক-তৃতীয়াংশ নাগরিকদের দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তারা কোনোভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মানব শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষার নাম সেরোলজিক্যাল টেস্ট। অ্যান্টিবডি হলো বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন যা শরীরে কোনো জীবাণু প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ইমিউনোগ্লোবিউলিন-জি বা আইজি-জি নামের অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রক্ত পরীক্ষা করে আইজি-জি পাওয়া গেলে বোঝা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সুস্থও হয়ে উঠেছেন।

পাঠকের মতামত: