কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মাড়ির রোগ থেকে হতে পারে অ্যালজাইমারস

মাড়ির সমস্যা বড় রকমের বিপদ ডেকে আনতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে মাড়ির সমস্যা থেকে হতে পারে অ্যালজাইমারসের মতো জটিল রোগ। গবেষকরা বলেছেন, মাড়ি রোগের সঙ্গে যোগসূত্র আছে এমন ব্যাকটেরিয়া অ্যালজাইমারস রোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

গবেষকরা জীবিত ও মৃত অ্যালজাইমার রোগী এবং সম্ভাব্য অ্যালজাইমার রোগীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং ক্রমিক মাড়ি রোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাকটেরিয়াকে অ্যালজাইমার রোগীর ব্রেনে দেখতে পেয়েছেন।

ইঁদুরের ওপর আরও পরীক্ষা দেখায় যে, যখন ওষুধ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উৎপন্ন টক্সিক প্রোটিনকে ব্লক বা বাধা দেয়, তখন ব্রেনের ডিজেনারেশন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও এটি এখনো শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, মাড়ি রোগ অ্যালজাইমারস এবং ডিমেনসিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিন্তু ভবিষ্যতে অ্যালজাইমার রোগের ওষুধ এবং বিভিন্ন চিকিৎসায় এসব গবেষণা যে মূল্যবান ভূমিকা রাখবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

মাড়ির যত্নে অবশ্যই ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু মাড়ি রোগের সঙ্গে অ্যালজাইমার রোগের যোগসূত্র রয়েছে, সেহেতু মাড়ি রোগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না। মুখের মধ্যে উপকারী এবং অপকারী দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান থাকে।

গবেষকরা বলেছেন, ব্রেইন অ্যামাইলয়েড অতিরিক্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া কমে যাওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। অ্যালজাইমার রোগ নির্দেশিত হয় ব্রেনের দুটি প্রোটিনের মাধ্যমে। একটি হলো অ্যামাইলয়েড বেটা এবং অন্যটি হলো টাউ। অ্যামাইলয়েড বেটা একত্রিত হয়ে প্ল্যাক তৈরি করে এবং ধারণা করা হয়, এটি ব্রেনে জমা হয়ে অ্যালজাইমার বা ভুলে যাওয়ার রোগ সৃষ্টি করে।

অন্যদিকে টাউ নামক প্রোটিন তৈরি হয়ে স্নায়ু কোষে জট সৃষ্টি করে। মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ফল, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এবং দুধ, ডিম ও দই খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি সকালে নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

পাঠকের মতামত: