কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ৩৩০ রানে শেষ

দিনের শুরুটা হয় লিটন দাসের আউট হওয়া দিয়ে। এরপর ইয়াসির আলি রাব্বি এবং মুশফিকুর রহিম আউট হন। মূলত তখনই চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণ হয়ে যায়। হলোও তাই। স্কোরবোর্ডে আর ৫৬ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে গেলো বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা।

দলীয় ২৭৬ রানের সময় মুশফিকুর রহিম আউট হওয়ার পর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান। ৩০৪ রানের সময় আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলেন তাইজুল। অপরপ্রান্তে পেসার আবু জায়েদ রাহীকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে যান মিরাজ। ৬টি চারের সাহায্যে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। ৮ রান করে রাহী আউট হওয়ার পরের বলেই শূন্য রানে হাসান আলির শিকারে পরিণত হন শেষ ব্যাটার ইবাদাত হোসেন।

পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট শিকার করেছেন হাসান আলি। ২০.৪ ওভার বল করে ৫১ রান খরচায় এই উইকেটগুলো নেন এই পেসার। এছাড়া শাহীন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ নেন ২টি করে এবং একটি উইকেট নিয়েছেন সাজিদ খান।

এর আগে গতকাল (২৬ নভেম্বর) প্রথম দিন টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু দিনের প্রথম সেশনেই ১৬.২ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪৯ রানেই টপ অর্ডারের শীর্ষ চার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। এর পরই দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। সেখান থেকে তারা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায়। পুরো দিন আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি। পাকিস্তানি বোলারদের শাসন করে গড়ে তুলেন রেকর্ড জুটি। স্কোরবোর্ডে ২৫৩ রান যোগ করে দিন শেষ করে এই দুই ব্যাটার। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক হাঁকান লিটন দাস।

আজ (২৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ব্যক্তিগত রানের খাতায় মাত্র ১ রান যোগ করে আউট হয়ে যান লিটন। তার আগে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়ে তুলেন ২০৫ রানের জুটি। যা পঞ্চম উইকেট জুটিতে চট্টগ্রামের মাঠে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান। পরে ৯১ রান করে ফিরে যান মুশফিকও। অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি চট্টলার সন্তান ইয়াসির আলি রাব্বিও। মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

পাঠকের মতামত: