কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

হৃৎকথা : কবি রফিকুল ইসলাম রাইসুল

“হৃৎকথা”

সব বাঁধা ভেঙে যদি হয়ে যাও আমার রাতদিনে,
আকাশবর্তী চন্দ্রের সবকটা আলো তোমায় দিবো কিনে।

সমুদ্র ও আমি ভালো বন্ধু,
তার জীবন যায় জলে।
আর আমার জীবন যায়,
স্মৃতির অশ্রুপাতের অতলে।

বালিপথ পেরিয়ে দূর বহুদূর এগিয়ে,
পাহাড় ডিঙিয়ে মুগ্ধতা মৌনতা বিলিয়ে।
তোমার সুশ্রী চেহারায় জ্যোৎস্না মাখিয়ে,
সবকটা বিষাদ বেদনাকে এড়িয়ে।
শুদ্ধ নামের নামকরা মানুষ হতে চাই।
প্রমিত অধিকারের মানুষ হতে চাই।

দিগন্তের টানে,
কুয়াশার গানে,
শীতার্ত ভোরের পানে,
মেঘের সনে,
ঘুমভাঙা মাঝরাতে আমি খুঁজে পাই নিদারুণ নিঃসঙ্গতার মানে।

এই জীবনের দুয়ারে শুনি মর্মর ধ্বনি,
জীর্ণশীর্ণ মস্তিষ্কে বয়ে যায় ব্যর্থতার বাণী।
কত মানুষ যে গেলো,
কত যে এলো,
কোথায় হারালো চৌরাস্তার বৈঠকের রাণী।

তোমার শূন্যতা আমাকে গ্রাস করলে,
ট্রয়নগর কিংবা শাহবাগ সিআরবি জুড়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি।
রাজপথে,অলিতে গলিতে তীব্র অগ্নিকাণ্ডে একাকার বানিয়ে দিতে পারি,
এতাবৎ সংগ্রাম কেবলমাত্র কিছুটা প্রেম বিনে।
নিবিড় কুয়াশা হয়ে নৈঃশব্দ্যে এসে,
প্রদীপ্ত জ্যোৎস্না হেসে,
নির্মল সুনন্দা বা পাহাড়ি মেঘে মিশে,
কবিতা ভালবেসে আলিঙ্গনে রেখো আমায় দৃঢ় বন্ধনে।

পাঠকের মতামত: