কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৫ উপায়

শিশুর স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে কে না চায়! স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে ওষুধ পথ্যের খোঁজ করেন অনেকেই। কিন্তু এ কাজ না করাই ভালো। বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জেনে নিন সতর্কতা এবং স্মৃতিশক্তিকে মজবুত করার কিছু ঘরোয়া উপায়।

শিশুরা প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস জানতে চায়। তাই তাদের নানা ইন্টারাক্টিভ টুলস প্রদান করা উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ এসব বিষয় শিশুদের ব্যস্ত রাখবে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

বাচ্চাদের মন থেকে বিভ্রান্তি দূর করে কীভাবে তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়, তার জন্য ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদনে কিছু টিপস দেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব-

দৈনন্দিন রুটিন
কোনো কিছুই যেন বাচ্চার ওপর প্রয়োজনাতিরিক্ত ভাবে চাপিয়ে দেওয়া না হয়। বাচ্চারা কী করতে ভালোবাসে তা খুঁজে বের করুন এবং তার সঙ্গে সামাজিক মেলামেশা, পড়াশোনা, এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটি এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করুন। এসব কাজে তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, যাতে তারা অধিক চাপ অনুভব না করে।

অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম অনুযায়ী উন্নত ও উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও বিশেষভাবে নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির শিক্ষাগ্রহণের ওপর নির্ভর করে, যা শুধু নির্দেশ ও মুখস্থ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিশ্বের এক বৃহৎ অংশ এখনও শিক্ষাকে ইন্টারেক্টিভ ও অভিজ্ঞতামূলক করে তোলার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এআর এবং ভিআর-এর মাধ্যমে অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় শিক্ষাগ্রহণ পদ্ধতি থেকে পৃথক। এ ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা সিমুলেশান এবং বাস্তব জীবনের অ্যাপ্লিকেশাল ভিত্তিক বিষয়বস্তুর সাহায্যে জটিল বিষয়ও সহজে বুঝতে পারবে এবং এটি তাদের বোধগম্যতাকেও শক্তিশালী করবে।

আরও পড়ুন: থাপ্পড়ে বাড়বে সৌন্দর্য!

পজিটিভ স্ক্রিন টাইম
স্ক্রিন টাইম যে সবসময় ক্ষতিকর হবে তার কোনো মানে নেই। এ ক্ষেত্রে মডারেশানে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন সন্তানকে। তবে লক্ষ্য রাখবেন ফোন বা ল্যাপটপের সঙ্গে তারা যে সময় কাটাচ্ছে, তা যাতে ফলদায়ক হয়। এর পাশাপাশি নিমগ্ন অভিজ্ঞতা ও যোগাযোগমূলক কনটেন্ট তাদের ডিজিটাল কনজেশান কমাতে সাহায্য করবে। তবে যে সব কনটেন্ট তারা দেখে যাচ্ছে, তার ওপর নজরদারি চালাতে ভুলবেন না।

গেমিফিকেশান
পড়াশোনা ও খেলাধুলার স্বাস্থ্যকর মিশ্রণ ঘটানোর সহজ পদ্ধতি হলো গেমিফিকেশান। এটি অত্যন্ত চমকপ্রদ। নানাভাবে এটি সন্তানের সামনে পেশ করতে পারেন, যেমন ট্রিভিয়া কুইজ, পাজল এমনকি সামগ্রিক শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতার গ্রহণের জন্য কোনো কর্মসূচি ইত্যাদি। এটি প্রমাণিত যে গেম খেলার মধ্য দিয়ে বাচ্চাদের মস্তিষ্কে কাঠামোগত ও কার্যকরী পরিবর্তন দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সেই সব স্থান বড় ও সক্রিয় হয়, যা মনোযোগ ও চাক্ষুষ দক্ষতার জন্য দায়ী। পড়াশোনার সঙ্গে যখন খেলাধুলা মিশিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাচ্চাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা যায় এবং কোনো চাপ ছাড়াই তারা জ্ঞান লাভ করতে পারে। এর ফলে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে, পাশাপাশি স্মৃতিশক্তিও বাড়বে অভাবনীয় হারে।

শ্বাসপ্রশ্বাস
শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুসকে সুস্থ রাখে। এ ব্যায়াম করলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা যথাযথ থাকে। একটি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রিত শ্বাসপ্রশ্বাসের ফলে মস্তিষ্ক জুড়ে নিউরোনাল অসকিলেশান হয়, বিশেষত সেই অংশে যা আবেগের সঙ্গে জড়িত। তাই অল্প বয়স থেকেই নিজের সন্তানকে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে উৎসাহিত করুন। এর ফলে তারা চাপমুক্ত থাকতে পারবে এবং ভালো ঘুম সুনিশ্চিত করতে পারবে।

পাঠকের মতামত: