কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া থ্যাইংখালীতে বন বিভাগের অভিযানে বালুতে লবণ, বসতঘর উচ্ছেদ, ড্রেজার মেশিন জব্দ, বালু মহলে লাল প্লেক

শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া :
উখিয়া উপজেলার থাইংখালীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেছিল চিহ্ন কিছু বালুখেকোরা । গেল ৮ ডিসেম্বর সেসব অবৈধ বালু খেকোদের সন্ধান নিয়ে দৈনিক রূপালী সৈকত পত্রিকায় ‘‘প্রশাসনের নেই কোন ভ’মিকা,‘‘পাহাড় গিলে খাচ্ছে “বালুখোকোরা’’শিরোনামে অনুুন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পরে বনবিভাগ নড়েচড়ে বসেছে ।এর পরে উখিয়া উপাজেলার রেঞ্জ অফিসার গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে বনবিভাগ অবৈধ বালু খোকোদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে । উক্ত অভিযানে চেরাখোরা,তেলখোলা,তাজনিমারখোলা ,চাকমাপাড়া এলাকায় অভিযান পরচালনা করেন বনবিভাগ।এসসময় অবৈধ বালির উত্তোলনের ২৭ টি অবৈধ বালুর জব্দ করেছে । ২টি ড্রেজার মেশিন,২টি অবৈধ  ঘর, প্রায় ৩০০ ফিট বালু ডেলিভারীর পাইপ জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ৯ ডিসেম্বর ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান চালান।

উখিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মো: শফিউল আলম বলেন, অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ,এসিএফ মোঃ আনিসুর রহমান ,রেঞ্জ অফিসার গাজী শফিউল আলম ,বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসেন,দুুলাল হালদার,বজলুর রশিদ,সাজ্জাদুজ্জামানসহ অনেক বিটের সদস্যসহ মোট ৫৭জন। অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৭ টি অবৈধ বালি মহলের উপর লাল প্লেক দিয়ে জব্দ পূর্বক লবন দিয়ে নষ্ট করার পাশাপাশি বালি উত্তোলনের কাজে ব্যবহ্নত বিপুল পরিমান সরঞ্জামাধিসহ ২টি অবৈধ ড্রেজার মিশিন উদ্ধার করেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থাইংখালী বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসাইন।

এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলরা বলেন, স্থানীয় বন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি বন বিভাগের পাহাড়ের সাথে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে সরকারি বন ভূমিকে বিরান ভুমিতে পরিনত করেছে।

এ ব্যাপারে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোঃ শফিউল আলম অভিযানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারী বনভুমি ও পাহাড় ধ্বংসকারীরা যতবড়ই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সরকার ইজারা দিয়েছে খাল, আর তারা ধ্বংস করছে সরকারি পাহাড় এটাতো কখনো হয়না। তিনি আরো বলেন, পাহাড় ধ্বংস করে অবৈধ বালি উত্তোলনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে বন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ২৭ টি মোকদ্দমা দায়েরের প্রক্রিয়া  চলমান রয়েছে বলে জানান।

 

 

পাঠকের মতামত: