কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া বার্তা সম্পাদকের মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অভ্যাহত থাকুক দেশের অগ্রযাত্রা।

১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস,জাতির জন্য পরম গৌরবের দিন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সেই অকুতোভয় বীরদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ বিজয়। ১৬ই ডিসেম্বর১৯৭১ সালে রেসকোর্স ময়দানে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী হাতের অস্ত্র সমর্পন পূর্বক মাথানিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। অগনিত মানুষের আত্মত্যাগর ফসল আমাদের স্বাধীনতা। আমরা গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি মুক্তি যুদ্ধের শহীদদের, যে-সব নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের। এ দিনে আমরা স্মরণ করি ১৯৫২,র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাঁদের ও।
এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোটি কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। স্বাতন্ত্র্যমন্ডিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ও আমাদের জাতীয়তাবোধ কে শানিত করে তোলা হয়েছিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো মানবসম্পদ সূচকে পেছনের সারি থেকে আমাদের অবস্থান ক্রমশই সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। বাড়ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
মুক্তি যুদ্ধে আমাদের বিজয়ের পেছনে কাজ করেছিলো মত -পথ -জাতি -ধর্ম নির্বিশেষে সবার এ যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ। আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা। জাতীয় ঐক্য ছাড়া তা যথার্থভাবে কাজে লাগানো যাবে না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে ঐক্য বদ্ধভাবে সকল সমস্যা মোকাবেলায় সচেষ্ট হলে আমাদের দ্রুত অগ্রগতি ঘটবে। সকল বিভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে আমরা সে পথেই অগ্রসর হবো। –এই হোক আমাদের বিজয় দিবসের অঙ্গিকার। বিজয় দিবসে সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।’

পাঠকের মতামত: