কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

সাইবার হামলারও শিকার ইউক্রেন

 

ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সিএনএন অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সকালে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এই ঘোষণার পরপরই ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হয়ে যায়। একই দিন স্থানীয় সময় ভোরে ইউক্রেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো ‘ডাউন’ হয়ে যেতে দেখা যায়।

ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আগে থেকেই সাইবার হামলা মোকাবিলা করে আসছিল। আজ ভোরে ইউক্রেনের একাধিক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সাইবার হামলার শিকার হয়। দেশটির পররাষ্ট্র, অবকাঠামো, শিক্ষাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সাইবার হামলা-সংশ্লিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হয় বলে জানা যায়।

সাইবার নিরাপত্তা গবেষকদের ভাষ্য, ইউক্রেনের শত শত কম্পিউটারে তথ্য মুছে দেওয়ার টুল (ডেটা-ওয়াইপিং টুল) পাওয়া গেছে।
মার্কিন সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ম্যান্ডিয়েন্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা চার্লস কারমাকাল সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের একাধিক বাণিজ্যিক ও সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট মারাত্মক ম্যালওয়্যার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি।’

মার্কিন কর্মকর্তারা আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন যে রাশিয়া সম্ভবত ইউক্রেনে সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি সাইবার হামলা চালাতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সাইবার হামলা চালায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব সাইবার অপারেশনের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দিতে পারে।

২১ ফেব্রুয়ারি ‘পলিটিকো’ এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার সাইবার হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা দেবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একটি দল এ ব্যাপারে কাজ করবে।

আজকের ভোরের এই ঘটনার আগে গতকাল বুধবার বিকেলে ইউক্রেনের একাধিক সরকারি ওয়েবসাইট সাময়িকভাবে অফলাইনে চলে গিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে ইউক্রেনের সংসদ, নিরাপত্তা সেবা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ছিল।

গতকাল ও আজকের সাইবার হামলার ঘটনার জন্য কে বা কারা দায়ী, তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে ইউক্রেন সরকারের বক্তব্য জানতে পারেনি সিএনএন।

পাঠকের মতামত: