কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুতিয়া গ্রুপের সন্ত্রাসী হামলা ভিন্নখাতে নেয়ার তদবীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনের আলো শেষ হতে না হতেই টেকনাফের মোচনীয় নয়পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুতিয়া গ্রুপের আতঙ্ক আর ভয় নেমে আসে সাধারন রোহিঙ্গাদের মাঝে।
টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের “পুতিয়া গ্রুপের” সন্ত্রাসী কার্যক্রম যেন ওপেন সিক্রেট । ক্যাম্পে তাদের একক আধিপত্যের কারণে যেন জিম্মিদশা রোহিঙ্গাদের। ক্যাম্পের আতংকের নাম “পুতিয়া গ্রুপ”একের পর এক রোহিঙ্গা নিরীহ পরিবারের উপর পরিচালিত তান্ডব রাখাইন রাজ্যের মগের মুল্লুকের কথা স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের জুলুম অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে নিজ মাতৃভূমি ত্যাগ করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখন পুতিয়া গ্রুপের সেই সন্ত্রাসীদের আক্রমন,মারধর,অপহরণ ও চাঁদাবাজি সহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পে নিত্য নৈমিত্তিক।
সম্প্রতি গত ৩রা মার্চ পুতিয়া গ্রুপের অন্যতম সদস্য মাহমুদুল্লাহর এলোপাতাড়ি দায়ের কুপে নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের মন্জুরুল আলম(১৯) মোহাম্মদ আলম(২৯)ছৈয়দুল আমিন (১৭) গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় একদিকে আহরা মৃত্যুরর সাথে পান্জা লড়ছে,অপরদিকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা আহতদের পরিবার কে নানান হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছে । আহত দুই সহোদর একই ক্যাম্পের এইচ ব্লকের ছৈয়দ আলমের পুত্র ও ছৈয়দুল আমিন হাফেজ আহমদের পুত্র।
আহত মোঃ আলমের মা রহিমা খাতুন জানায়,মাহমুদুল্লাহ,মোঃ আলম,মোঃ আইয়ুব গং আমাকে এবং আমার পরিবার কে হাইজ্যাক করে পাহাড়ের নিয়ে যাবে,খুন করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।এ ছাড়া আহতদের পরিবার কে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় ফাঁসাতে বেশ কয়েকজন মহিলাদের আহত ভিকটিম সাজিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে পুতিয়া গ্রুপ। বর্তমানে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানা মিথ্যা ঘটনার অজুহাত খুজছে।
বিষয়টি ক্যাম্পের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে,পুতিয়া গ্রুপের এই সদস্যরা নয়াপাড়া ও শালবাগান ক্যাম্পের মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্য সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। ২০০৮ সালে উক্ত ক্যাম্পে মুনিরা নামক সদ্য প্রসূতি এক মেয়েকে বিবস্ত্র করে হত্যা ,ডাঃ মালেক, জুবাইর,নুরুচ্ছফা সহ অসংখ্য রোহিঙ্গাদের মারধরের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত মাহমুদুল্লাহ,মোঃ আলম,মোঃ আইয়ুব গংদের বিরুদ্ধে হত্যা,ডাকাতি,অপহরণ সহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। ক্যাম্পের শান্ত পরিবেশ কে অশান্ত করার পিছনে তাদের হাত রয়েছে।
তাদের কে আইনের আওতায় আনা না গেলে ক্যাম্পে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

পাঠকের মতামত: