কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দুবাই যেতে বাংলাদেশিদের লাগবে না করোনা টেস্ট

বিশ্বজুড়েই কমছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাংলাদেশেও ওমিক্রনের সেই তেজ আর নেই। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য করোনা টেস্টের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। আজ সোমবার (৭ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে দুবাইয়ের সিভিল এভিয়েশন। করোনা প্রতিরোধকারী টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ দেওয়া যাত্রীরাই কেবল এই সুযোগ পাবেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দেওয়া এক চিঠিতে দুবাইয়ের সিভিল এভিয়েশন জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত কোনো টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া বাংলাদেশি যাত্রীর দুবাই রওনা হওয়ার আগে করোনার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে না। তাদের টিকা সনদ থাকলেই চলবে। তবে যাদের টিকা সনদ নেই, তারা যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনার আরটি পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে।

দুবাই জানায়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রত্যেক যাত্রীকে দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছে বিনামূল্যে আরেকবার করোনা টেস্ট করতে হবে। সেই টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হবে নমুনা নেওয়ার পরদিন বিকেলে (হোটেলে কিংবা মোবাইল নম্বরে)। রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত যাত্রীকে দুবাইয়ের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তিনি হোটেল থেকে বের হতে পারবেন। কোনো যাত্রীর যদি করোনা পজিটিভ আসে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

৬ মার্চ (রোববার) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে দুবাই।

নতুন ভ্রমণ বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীকে যাত্রা শুরুর আগে তাদের স্মার্টফোনে ‘COVID 19 DXB’ অ্যাপ ডাউনলোড করে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। যাত্রার সময় পূরণ করা ফরম প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে। যাত্রীদের হেলথ ইন্স্যুরেন্স নিতে হবে।

এছাড়া ১০ বছরের নিচের শিশু এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা আরটি পিসিআর টেস্ট ছাড়াই দুবাই প্রবেশ করতে পারবেন।

দুবাই আরও জানায়, বাংলাদেশ থেকে যেসব বৈধ গৃহকর্মী দুবাই যাবেন, তাদের সঙ্গে তাদের স্পন্সর বা স্পন্সরের মনোনীত ব্যক্তিদের ফ্লাইটে থাকতে হবে।

পাঠকের মতামত: