কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন রাজাপালং

বিশেষ প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (অনূর্ধ্ব-১৭)-২২ জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১৪ মে) বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মিনি স্টেডিয়াম) এ ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
খেলার নির্ধারিত সময়ে ১-০ গোলে জালিয়াপালং ইউনিয়নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক রাজাপালং। খেলা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় দলের রাইট উইঙ্গার জয়নাল বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে নিপুণ কৌশলে বল জালে পাঠিয়ে দেয়। জয়নালের চোখ বাঁধানো শটে গোলকিপারের অসহায়ত্ব দেখেছে গ্যালারিভর্তি দর্শক।
তবে গোল না পেলেও দর্শক ও অতিথিদের মন জয় করা পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বিজয়ী দলের রাহিদুল ইসলাম সাগর। সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের নয়ন বড়ুয়া।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ইমরান হোসাইন সজীব।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওমালীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম ছৈয়দ আলম, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, ক্রীড়াবিদ ও সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কক্সবাজার জেলা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শফিউল আলম শফি, আনোয়ার কামাল ও জয়নাল আবেদীন। খেলায় ধারাভাষ্যকার ছিলেন পোস্ট মাস্টার এস.এম জসিম উদ্দিন ও মধ্যরাজাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ বিরতির পর গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ৪ ইউনিয়ন নিয়ে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন হয়। এদিন উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে জালিয়াপালং, রত্নাপালং, হলদিয়াপালং ও রাজাপালং ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করে। শুরুর একদিনেই ৪ দলের মধ্যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ম্যাচে গোল শূন্য ড্র করে ট্রাইবেকারে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে হলদিয়াপালং ইউনিয়নকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে জালিয়াপালং ইউনিয়ন। পরে রত্নাপালংকে ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে রাজাপালং ইউনিয়ন।

পাঠকের মতামত: