কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

"কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভবনে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টায় প্রথম দফায় বেঁচে যায়

উখিয়ার নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে ওসাইমিম আত্মহত্যা

বিশেষ প্রতিনিধি::
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভবনে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টায় প্রথম দফায় বাঁচানো গেলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না সেই কিশোর ওসাইমিম’কে।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে কোনো এক সময় উখিয়ার নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে ওসাইমিম আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, শনিবার ভোরে শয়নকক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় ওসাইমিমের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা ভবনের সানসেটে কিশোর ওসাইমিমকক্সবাজার সদর মডেল থানা ভবনের সানসেটে কিশোর ওসাইমিম
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র ওসাইমিম প্রথম দফায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছিলেন গত ১৬ এপ্রিল। ওইদিন বিকেলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার কনস্ট্রাকশনের কাজ করার জন্য থানা ভবনের বাইরে তৈরি করা অস্থায়ী সিঁড়ি বেয়ে হঠাৎ ওই কিশোর তিনতলার সানসেটে উঠে যায়। এরপর সেখানে নিজের গায়ে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে। একই সময় লাফিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন।
পরে কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস তিনতলার ওই সিঁড়িতে উঠে তাকে আত্মহত্যা না করার জন্য নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে নিচে পুলিশ কম্বল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে আসে। লাফ দিলেও যাতে প্রাণহানি না ঘটে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়। ওই কিশোরকে বুঝাতে সক্ষম হলে সে নিচে নামতে রাজি হয়। প্রায় ২০ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওইদিন ওই কিশোরের লেখা একটি কাগজও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর পরই কিশোরকে নিয়ে উখিয়ায় নিজ বাড়ি চলে যান পিতা। পরিবারের তথ্য মতে, তাকে আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসাও প্রদান করা হয়। সম্প্রতি ওই কিশোর স্বাভাবিক আচরণও করে। কিন্তু শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাতে আত্মহত্যা করেন।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ইন্টারনেট ও গেইম আসক্ত কিশোরের আত্মহত্যার কারণ।

পাঠকের মতামত: