কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে বন রক্ষায় ফিফাকে বিশিষ্টজনের চিঠি

কক্সবাজারের রামুতে সংরক্ষিত বন ও পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ না করার অনুরোধ জানিয়ে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে (ফিফা) চিঠি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজন। তাঁরা বিকল্প জায়গায় এ সেন্টার স্থাপনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, মহাসচিব ফাতমা সামোরার ও ফিফার ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফাকে ডিএইচএল ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিসেসের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- মানবাধিকারকর্মী ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অব বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সভাপতি জেড আই খান পান্না, ব্লাস্টের অবৈতনিক পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।

এ ছাড়া চিঠিতে সই করেন কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সভাপিত এইচ এম নজরুল ইসলাম, সেভ দ্য কক্সবাজারের সভাপতি আনছার হোসেন ও ইয়ুথ ইনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস), কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ মামুন।

চিঠিতে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুতে সংরক্ষিত বন ও পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় বাফুফেকে জমি বরাদ্দ দেওয়া সংবিধান, আইন ও আদালত আদেশের লঙ্ঘন। এর বাস্তবায়ন হলে সেখানকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়বে। টেকনিক্যাল সেন্টারটি করার জন্য উপযুক্ত বিকল্প স্থান আছে। সেখানে সেন্টারটি স্থাপনের অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

গত ৪ জুলাই এক অনুষ্ঠানে বন বিভাগ বাফুফেকে বনাঞ্চলের ডি-রিজার্ভকৃত ২০ একর জায়গা বুঝিয়ে দেয়। এটি নির্মাণের পুরো তহবিল দিচ্ছে ফিফা।

পরিবেশবিদরা বলছেন, একাডেমি স্থাপনে কাটা পড়বে গুরুত্বপূর্ণ এই বনের প্রায় ৩০ হাজার ছোট-বড় গাছ। এই বন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণের জোট আইইউসিএন-এর তালিকাভুক্ত মহাবিপদাপন্ন এশিয়ান হাতির আবাসভূমি। এ ছাড়া এ বনে হরিণ, বন্য শূকর, বানরসহ অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদ ও পাখি রয়েছে।

পাঠকের মতামত: