কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো আবৃত্তি অনুষ্ঠান- ‘সৃজনে স্বজনে’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঘূর্ণিবায়ুর শঙ্কা কাটিয়ে প্রকৃতিতে যখন আস্তে আস্তে শীতের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে,সন্ধ্যাগুলো সুরভিত হয়ে উঠছে ফুলেল স্নিগ্ধতায়, তখন মন চায় আবৃত্তির মূর্ছনায় নিজেকে ভাসাতে। সেই উপলক্ষ্যেই নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হল আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘সৃজনে স্বজনে’। দুই বন্ধুপ্রতিম সংগঠন নির্মান আবৃত্তি অঙ্গন এবং চট্টগ্রাম আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে এই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি নিবেদন করেন দুই সংগঠনের নির্বাচিত আট জন আবৃত্তি শিল্পী। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা, মানবতা, প্রেম এবং প্রকৃতি পর্যায়ের ৪টি করে কবিতার আবৃত্তি উপস্থাপন করেন শিল্পীরা। চট্টগ্রাম আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি এহতেশামুল হকের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন নির্মান আবৃত্তি অঙ্গনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, এরকম যৌথ আয়োজন সাহস দেয় যুথবদ্ধ পথচলায়। এরকম আয়োজনে দুটি সংগঠনের মধ্যে পারষ্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে নির্মান ভাবনা,মঞ্চ পরিকল্পনা এবং সামগ্রিক আয়োজনের সার্বিক বিষয়গুলো আরো সমৃদ্ধ হবে। করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে এমন আয়োজন শিল্পীদের একক চর্চার জায়গাটুকু আরো সমৃদ্ধ করবে।এছাড়াও তিনি আবৃত্তিশিল্পীদের সাহস যুগিয়ে নিজেদের চর্চাকে আরো ঋদ্ধ করতে বলেন। সমগ্র আয়োজনে নেপথ্য সংগীত সংযোজন করেন চট্টগ্রাম আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের শিল্পী সায়ন্তন ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে নির্মান আবৃত্তি অঙ্গনের শিল্পী সমুদ্র টিটো আবৃত্তি করেন ‘এখানে নরক এনোনা’,’আমাকে কি মাল্য দেবে দাও’,’বসিরনের সুখদুঃখ’ এবং ‘এক গাঁয়ে’ কবিতাগুলো। অর্নব বড়ুয়ার কণ্ঠে উঠে আসে ‘স্বাধীনতা বাঙালির’,’সবার দেশ’,’মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ এবং ‘১০/৫/১৯৮৪/৩’ কবিতাগুলো। পুষ্পা সর্ব্ববিদ্যা আবৃত্তি করেন ‘রিপোর্ট ১৯৭১’,’আগমনী’,’মানুষের মানচিত্র’ এবং ’সোনার তরী’। বাপ্পী হায়দার পড়ে শোনান ‘গ্রাম্য শালিশ’, ‘একটি স্বপ্ন দানব’,’অবাধ্যতার গল্প’ এবং ‘আফ্রিকা’ কবিতাগুলো।

চট্টগ্রাম আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের শিল্পী ফারুক আজম আবৃত্তি করেন ‘সোনার বাংলা’,’কর্তৃত্ব গ্রহণ কর,নারী’,’মেয়ের কাছে বাবার চিঠি’ এবং ‘কাশবন ও আমার মা’। প্রিয়ম কৃষ্ণ দের কন্ঠে শোনা যায় ‘বারবারা বিডলারকে’,’কবরীপ্রসঙ্গ’,’পত্র’ এবং ‘বিষ্ময়! হে পলাতকা’ কবিতাগুলো। মুনমুন বড়ুয়া আবৃত্তি করেন ‘পিতার কাছে খোলা চিঠি’,’রূপ’,’সুখী মানুষ’ এবং ‘ভালোবাসার কাছে’। স্বরবর্ণ আশরাফ নবান্ন পড়ে শোনান ‘বাংলা ছাড়ো’, ‘মানুষ’, ‘বোতাম’ এবং ‘নিমন্ত্রণ’ কবিতাগুলো।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিস রুদ্র এবং নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা সাগর সহ অন্যান্য বিভিন্ন বন্ধু সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পী এবং শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: