কক্সবাজার, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

চোরাইপথে আসা গরু মহিষ নিয়ন্ত্রণে উখিয়ার প্রভাবশালী সিন্ডিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক::

চোরাইপথে মিয়ানমার থেকে আসা গরু মহিষের বৈধতা দিচ্ছে উখিয়া গরু (দারোগা) বাজারের ইজারাদার আব্দুর রহিম সহ নিয়ন্ত্রণ করেন প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন রাজাপালং ইউনিয়ন চকবৈঠা এলাকার সীমান্তপথে বেড়ে উঠা চাকবৈঠা এলাকার মাফিয়া আব্দুল খালেদ ফরহাদ৷

উখিয়া দরোগা বাজার ইজারাদার আব্দুর রহিম উখিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর অঘোষিত ক্যাশিয়ারের দায়িত্বপালন করেন৷ তিনি এই অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে আসা গরু মহিষকে বৈধ করে সেই টাকা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খরচ করতেন৷ আব্দুর রহিম একসময় দিনমজুর হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে কোটি টাকার মালিক৷ রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, তুম্ব্রু সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু-মহিষ প্রবেশ করতে বিশাল একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। তুম্ব্র পর্যন্ত সিন্ডিকেট প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন রেজাউল নামে এক ব্যাক্তি। তিনি তুম্ব্রু এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা এলাকার আব্দুর খালেদ ফরহাদ করইবনিয়া এলাকায় রাজত্ব করতেন এবং অবৈধ ভাবে চোরাচালানের কাজ করছে।

তুমব্রু হয়ে অবৈধভাবে আসা গবাদিপশু গুলো সাপ্লায় ও রশিদ বানানোর মাধ্যবে বেচা বিক্রির দায়িত্ব পালন করেন কুতুপালং এর একাধিক ব্যাক্তি সেখানে প্রাথমিকভাবে প্রধান দুজনের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন কামাল উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন। তারা দুজনই কুতুপালংয়ের বাসিন্দা।

তারা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে স্থানীয় প্রভাব কাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মায়ানমার থেকে গরু-মহিষ কুতুপালং এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লায় দিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি আগষ্টের শেষের দিকে নাসির ও কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪৫টি মহিষের পাল তুম্ব্রু হয়ে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় প্রবেশ করেন। সেই মহিষের পাল কুতুপালং রফিকের আমবাগানে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

এই অবৈধ গরু মহিষের পাল তারা বৈধ করতে উখিয়া গরু বাজার ইজারা ডাককারী আব্দুর রহিম থেকে অবৈধভাবে রশিদও বানিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

উখিয়া উপজেলা সূত্র জানাযায়, ছোট গরু ৩০০ টাকা এবং বড় গরু মহিষ ৫০০ টাকা হাসিল নেওয়ার কথা উল্লেখ্য করা হয়৷

এবিষয়ে গরু বাজার ইজারাদার আব্দুর রহিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ কর হলে তিনি জানান, গরু মহিষ রশিদ দেওয়ার দায়িত্ব আমার তাই গরু মহিষ রশিদ প্রদান করি৷ অবৈধ গরু উখিয়া বাজারে উঠে না৷ আমার এরিয়ায় আমি রশিদ দিয়ে যাবো৷

অতিরিক্ত হাসিল নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আগে থেকে ১৫০০ টাকা নিয়ে আসতেছি এখনো নিচ্ছি। আমাকে বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই কারণ আমি বাজার ইজারাদার৷

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, অতিরিক্ত হাসিল বা রশিদ ফি না নেওয়ার জন্য উপজেলা হলরুমে বাজার ইজারাদারদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে৷ সেখানে সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে৷ যদি আইন অমান্য করে কেউ অতিরিক্ত হাসিল নেওয়া হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত দিয়ে কোনো জিনিস পাচার না হয় সেব্যাপারে বিজিবি কাজ করছে।

পাঠকের মতামত: