কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

টনক নড়েছে প্রশাসনের

কক্সবাজার সৈকতের ফিস ফ্রাই দোকান সিলগালা

কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গড়ে তোলা ফিস ফ্রাই (ভাজা মাছ) ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফিস ফ্রাই খেয়ে শুক্রবার রাতে ফেরদৌস আলম নামের এক পর্যটক মারা যাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

এ সময় ৬টি দোকানে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, দুটি দোকান সিলগালা ছাড়াও বিপুল পরিমাণ পঁচা মাছ, মাংস ও মালামাল জব্দ করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফা জাবেদ কায়সারের নেতৃত্বে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী (এডিসি) জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার, মাছ, মাংস বিক্রির দায়ে ৬টি দোকানকে যথাক্রমে—আল্লাহর দান হোটেলে বিদেশি দোম্বার মাংস ২০ কেজি, পচা মাছ ১৫ কেজিসহ ২ মণ মাছ ও মাংস জব্দ করা হয়। আল্লাহর দান হোটেল ও ফিস ফ্রাই দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ফ্রেশ সী ফিসকে ২০ হাজার টাকা, ক্রাফট হাউস অ্যান্ড বার ভি কিউ দোকানকে ২০ হাজার টাকা, লাবণী ক্যাফেকে ২০ টাকা জরিমানা করা হয়। মেরিন ও মায়ের দোয়া নামের দোকান দুটি সিলগালা করা হয় ।

অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফা ছাড়াও ছিলেন—ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসাইন, পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান জাহিদ খান, স্যানেটানি ইন্সপেক্টর নুরুল কবির কাদেরী, পেশকার সেলিম উদ্দিন ও পুলিশ সদস্যরা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসাইন জানান, জনস্বাস্থ্যে ক্ষতিকর পরিবেশে খাবার তৈরিকারক ও বিক্রিতে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সাগরপাড়ের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সুগন্ধা, লাবণী, কলাতলী পয়েন্টসহ সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে শতাধিক অবৈধ দোকানপাট রয়েছে। ফিস ফ্রাই নামের পঁচা মাছ আর পোড়া তেলে ডিপো খ্যাত ঝুপড়ি দোকানগুলো থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এবং স্যানেটারি ইন্সপেক্টর দৈনিক-মাসিক হারে মাসোহারা নিয়ে আসছে। যে কারণে প্রশাসনের বারবার উচ্ছেদ অভিযান ও অর্থদণ্ড দেওয়ার পরেও সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।

যেসব ব্যক্তি এসব অবৈধ দোকান থেকে মাসোহারা নিচ্ছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

পাঠকের মতামত: