কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ইয়াবা, অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার

টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ মাদক কারবারি নিহত

টেকনাফ সীমান্তে শুক্রবার রাতে মাদকের চালান নিয়ে অনুপ্রবেশকালে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩জন ‘রোহিঙ্গা’ মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। এসময় বিজিবির ৩জন আহত হয়। ঘটনাস্থল হতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত চিহ্নিত এক মাদক কারবারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন লেদা বিওপির ছুরিখাল পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল পোস্টের অদূরে কৌশলী অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ৪-৬জন লোক একটি কাঠের নৌকাযোগে বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করে। তখন তারা নৌকা থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে নায়েক মঞ্জুর রহমান, সিপাহী খোরশেদ ও মাহমুদুল হাসান আহত হন।

বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তারা কেওড়া বন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ইয়াবার বস্তা, ২টি দেশিয় তৈরী বন্দুক, ২রাউন্ড তাজা কার্তুজ, খালি খোসা ও কিরিচসহ অজ্ঞাত (১৮,১৯ ও ২১ বছর বয়সী) ৩জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত বিজিবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে তাদের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, অবৈধ মাদক পাচার ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করায় তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে, শনিবার ভোররাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার হোয়াইক্যং তুলাতলী এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় মাদক কারবারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করলে এএসআই আরিফ হোসেন, কনস্টেবল রুমন ও এডিসন চাকমা আহত হয়। পুলিশও সরকারী সম্পদ এবং আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করার কিছুক্ষণ পর মাদক কারবারীরা পালিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে দেশীয় অস্ত্র, ৬হাজার ইয়াবা, ৩রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৬টি খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হোয়াইক্যং তুলাতলীর আবুল বশরের ছেলে মুসা আকবরকে (৩৬) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুসাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: