কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় লোক সমাগম বাড়ছে

কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে লোক সমাগম বেড়ে চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মানছে না এখানকার জন সাধারন।

স্থানীয়রা বলছেন এভাবে লোক সমাগম হলে করুন পরিনীতি ভোগ করতে হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যায় পযর্ন্ত উখিয়া বাজারের অধিকাংশ দোকান পাট খোলা থাকে। এখানে মানুষের আড্ডা বেশি। সাধারন পথচারীর মুখে মাস্ক নেই। পুলিশ ও সেনা বাহিনী দেখা মাত্র দোকান পাট বন্ধ করে দেন। তারা চলে যাওয়ার পর পূনরায় দোকান পাট খুলে বেচা বিক্রী করতে দেখা যায়।

সিএনজি, টমটম গাড়ী চলছে সমান তালে। স্থানীয় বলছেন এ গুলোর কারনে ঝুকিতে রয়েছে উখিয়া। প্রশাসন কে আরো কঠোর হতে হবে।

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে নিয়োজিত রয়েছে শতাধিক এনজিও। এরা কারো নির্দেশনা মানছে না। করোনা ভাইরাসের মহামারি চলছে। পুরো বিশ্ব আজ উদ্বিগ্ন। সারা বিশ্ব লক ডাউন।  নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে বলছেন। প্রশাসনসহ সামরিক বাহিনী সেভাবে মাঠে কাজ করছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে উখিয়ার কোটবাজার, বালুখালী রোহিঙ্গা বাজার, সোনারপাড়া বাজার ও মরিচ্যা বাজারের কিছু সংখ্যাক দোকান পাট খোলে মালা মাল বিক্রী করছে। কোটবাজারে বাজার করতে আসা আলী আকবর বলেন এখনো পযর্ন্ত কোন সাহায্য সহযোগীতা পায়নি।

ছেলে মেয়েদের জন্য কিছু তরকারি ও মাছ কিনব।এনজিও কর্মী মোতাহার বলেন গাড়ী ভাড়া বেশি নিচ্ছে । কেউ কারো কথা শুনে না।অপর দিকে কক্সবাজার -টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি।

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন এনজিওর গাড়ি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে প্রতিদিন শত শত এনজিও’র গাড়ী চলাচলের কারণে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকতো এই সড়কে। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ ছিল। তাদের আশংকা ছিল, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত কারী গাড়ী ও বিদেশীদের কারণে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে মানুষ।

আজ সকাল হতে  কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের রেজু ব্রীজের উভয় প্বার্শে সাধারণের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিজিবি।

কক্সবাজার বিজিবির সিও লে: ক: আলী হায়দার আজাদ জানান, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: মাহবুব আলম তালুকদারে নির্দেশে গাড়ী ও জনচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আরআরআরসি অফিসের অনুমোদিত গাড়ী ছাড়া আর কোন গাড়ী চলাচল করতে দেয়া হবে ন।এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:নিকারুজ্জামানের মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

পাঠকের মতামত: