কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ার লকডাউন উপেক্ষা করে মাটি কাটার হিড়িক

সারদেশে লকডাউন চলাকালিন সময়ও উখিয়া উপজেলার পালংখালী গয়ালমারা থেকে মোছার খোলা পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক দিয়ে নাম্বারবিহীন ভারী গাড়িতে মাটি পরিবহন থেমে নেই। দিন দুপুরে কাটছে মাটি। মানছে না সরকারি কোন নির্দেশনা।

কাঁচা সড়ক দিয়ে দিন রাত কয়েকশত বালি ও মাটি ভর্তি অবৈধ ডাম্পার চলাচলের কারণে একদিকে যেমন কাঁচা সড়কটির ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে ধুলোবালির কারণে স্থানীয়দের সর্দি কাশিসহ নানা প্রকার শ্বাস কষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর অাশ-পাশের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বাড়ি গুলোতে বুলার আস্তরন জমে গেছে। যার করণে নি:শ্বাস নিতে পারছেনা ঘরবন্দী মানুষ গুলো।

সরজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ থাকলেও থেমে নেই উখিয়া উপজেলার পালংখালী গয়ালমারা থেকে মোছার খোলা পর্যন্ত কাঁচা সড়কের ডাম্পার চলাচল। লকডাউনের সময় দেশের চলমান আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিছু অসাধু অবৈধ মাটি ও বালি চোর সেন্ডিকেট নিজেদের ব্যবসা ও পায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে দিন রাত কয়েকশত ডাম্পারে করে পাহাড় ও খালের মাটি বিক্রয়ের জন্য সড়কটিকে ব্যবহার করে যাচ্ছে। যার কোন বৈধতা বা আইনত কাগজ পত্র নেই।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় এলাকার সমস্ত মানুষ ঘরবন্ধি থাকার কথা। কিন্তু এসময়ও থেমে নাই কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের অবৈধ কার্যক্রম। আর বাহিরাগত কোন প্রকার গাড়ি বা যানবাহন এলায় প্রবেশ না করার কথা থাকলেও তা মানছেনা স্থানীয় এই শক্তিশালী সেন্ডিকেট।

এলাকাবাসীরা আরও জানান, সরকারি আইন অমান্য করে এলাকায় প্রবেশ করে দিন রাত অবৈধভাবে সামাজিক বনায়নের কাঠ, খালের বালি ও পাহাড়ের মাটি ডাম্পার যোগে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন করেছে। আর শ্রমিক হিসাবে ব্যবহার করছে স্থানীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েকশত রোহিঙ্গা শ্রমিক।

এতে রোহিঙ্গা শ্রমিক ও দুর-দুরান্তের ড্রাইভার এবং  হেলপারদের কাছ থেকে সর্দি কাশি জনিত রোগ ছাড়াও করোনাভাইরাসের মত মরণব্যধি জনিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে।  কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক হতে গয়ালমারা হয়ে মোছার খোলা, জামবনিয়া ও বাহার ছড়া পর্যন্ত ডাম্পারসহ সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে লকডাউন করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

অন্যথায় সরকারের মহৎ কার্যক্রম বেস্তে যাবে বলে তাদের ধারনা। এদিকে এভাবে ভারী যানবাহন চলাচল অব্যহত থাকলে রাস্তাটি অচিরেই বিলিন হয়ে যাবে। যার ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে জন চলাচলে দূর্ভোগ পোঁহাতে হবে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীর কাছে কাঁচা রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ক্ষয় ক্ষতি ও খালের অবৈধ বালি উত্তোলন এবং পাহাড়ের মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, সরকারি রির্জাভ ভূমির মাটি, খালের বালি ও পাহাড় কেটে বিক্রয় করে দিচ্ছে ক্ষমতাশীন দলের একটি শক্তিশালী মাটি ও বালি খেকো সেন্ডিকেট। তারা এখন বেপরোয়া। কারও কথা শুনেনা। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য  বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছে। যার ফলে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: