কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

উখিয়া বার্তা ডেস্ক:: 

দেশের ক্রান্তিকালে করোনা প্রতিরোধে অসহায়দের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী , খাদ্য সামগ্রী, সেহরী ও ইফতার বিতরণ এবং কৃষকদের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে  একের পর এক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালু রেখেছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ।

বুধবার ( ২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিম্ন আয়ের ও অসহায়দের মাঝে ইফতার প্যাকেট বিতরণ করেন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তায় হুইল চেয়ারে বসে থাকা পথের ভিক্ষুক, অচল, অসহায়, রিক্সা-ভ্যান- সিএনজি চালক ও পথচারীদের মাঝে ইফতারের আগ মূর্হুতে চকবাজারের বিভিন্ন এলাকায় কিছু নেতা-কর্মীদের নিয়ে ইফতার প্যাকেট বিতরণ করছে ওই ছাত্রলীগ নেতা।

ইফতারির প্যাকেটে ছিল ছোলা ভুনা, পিয়াজু, বেগুনী, আলুর চপ, শাকের বড়া, খেজুর, জিলাপি ও বোতলজাত খাবার পানি।

ইফতারের প্যাকেট নিয়ে এক রিক্সা চালক বলেন, রোজা রেখে সারাদিন রিক্সা চালায়। শহরে দশভাগের এক ভাগ মানুষও চলাচল করে না করোনার ভয়ে। কিন্তু আমাদের তো প্রতিদিনের মতো সংসার খরচের চাপে বের হতে হচ্ছে। আগের মতো ইনকাম নেই।আর যে টাকা ইনকাম হয় তা রিক্সা ভাড়া ও সংসার চালানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এবারের রমজানে ঘরে বিশেষ কিছু রান্না বা বাজার থেকে ইফতার কিনে খাওয়ারও সামর্থ্য নেই। আমি তো প্রায় সময় বাহিরে থাকি। সারাদিন রোজা রেখে ইফতার করতে গেলে মোটামুটি ৫০ টাকা খরচ হয়ে যায়। আজ আমার টাকাটা বেঁচে গেল। বিনা টাকায়  ইফতার পেয়ে আমি অনেক খুশি।

এ নিয়ে জানতে চাইলে সুভাষ মল্লিক সবুজ উখিয়া বার্তাকে জানান, এবারের রমজানে কোথাও দেখা মিলছে না সাঁড়ি সাঁড়ি ইফতার সামগ্রীর দোকানপাট। জনসমাগম নেই হাট- বাজারে, রাস্তাঘাটে, মহল্লার অলিগলি এমনকি মসজিদেও। আর এই মহামারির মধ্যেই পবিত্র মাহে রমজান মাসের দিনগুলো যাচ্ছে । নগরীতে ইফতার সামগ্রী সংগ্রহে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ, তা চোখে পড়ার মতো।তাই কিছুটা কষ্ট লাঘবের জন্য নিজ অবস্থান থেকে আজ ১৫০ প্যাকেট ইফতার নিয়ে ইফতারের আধা ঘন্টা আগে বাসা থেকে বের হয়েছি।

তিনি বলেন,  করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন হওয়ায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকে। ইফতারের দোকানও সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশাচালক ও দরিদ্র মানুষের একটি বিশাল অংশ ইফতারের সময়ে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হন। আমরা গত কয়েক দিন ধরে সার্ভে করে দেখেছি। এই সময়টুকুতে চকবাজার এলাকায় রাস্তায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ থাকে। তবে এর মধ্যে কিছু অন্য ধর্মের থাকে। যার কারণে সেই হিসেবে পথের এই মানুষদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছি।

পাঠকের মতামত: