কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় এক যুবককে অপহরণ করে হত্যার অপচেষ্টার অভিযোগ

ফারুক আহমদ, উখিয়া::

উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনাইছড়িতে নুরুল আলম  (২৮) নামক এক যুবককে  অপহরণ করে  বাড়িতে আটকিয়ে অমানুষিক নির্যাতন  করে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার  ইফতারে পূূর্বে ঘটনাটি ঘটেছে।

গ্রামবাসীরা জানান,  নুর আহমদের পুত্র নুরুল আলম ওইদিন কাজ শেষে সন্ধ্যার পূর্বে ইফতার করার জন্য বাড়িতে ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে তাকে পথ গতিরোধ করা হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন চিহ্নিত স্থানীয় সন্ত্রাসী মারধর পূর্বক   অপহরণ করে।

আহত পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার সানাউল্লাহ ও শামসুল আলম সোহাগের নির্দেশে নুরুল আলম কে হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণ করে আমানত     উল্লাহর  বাড়িতে আটকিয়ে রাখে। আনসারুল্লাহ  ও বাশিয়া সহ কয়েকজন মিলে তাকে লোহার রড  ও হাতুড়ি দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। সন্ধ্যার পর রাস্তায় ফেলে দিলে আহত নুর আলম কে স্থানীয় জনগণ উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাটি উখিয়া থানার পুলিশকে অবহিত করেছে।

গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গত ২৯ মার্চ আলী হোসেনের পুত্র নুরুল আবছার নান্নুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দেলোয়ার হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এদিকে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩ এপ্রিল আলী হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামি আহমদ শরীফকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রামবাসীরা আরো জানান , পুলিশ কর্তৃক আসামি গ্রেফতার ঘটনার জের ধরে সানাউল্লাহ ও শামসুল আলম সোহাগের নেতৃত্বে একদল লাঠিয়াল বাহিনী মৌলভী নুরুল আলমের বাড়িতে ভাংচুরসহ তাণ্ডবলীলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ইমরান হোসেন মোশারফ হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুস সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
স্থানীয় মেম্বার শামসুল আলম সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন ও ফরিদ আলম জানান আহমদ শরীফ কে পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ায় দৃশ্য দেখে সহ্য করতে না পেরে মা নুর নাহার বেগম স্ট্রোক করে মারা যান
ওই মৃত্যুর ঘটনাকে পুঁজি করে ২৮  জন গ্রামবাসীকে  মামলায় জড়িয়ে দিয়ে হরিয়ানি করা হচ্ছে বলে এমন অভিযোগ স্থানীয় নাগরিক সমাজের।
ঘটনাটি নিরপেক্ষ তদন্ত করে মিথ্যা মামলা থেকে নিরহ ব্যক্তিদেরকে রেহাই দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নিকট দাবি জানিয়েছেন সচেতন গ্রামবাসী।

পাঠকের মতামত: