কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

‌‌”পুলিশ জনগনের বন্ধু” কথায় নয় কাজে দেখাচ্ছে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহ

ইমরান আল মাহমুদ::

সিদ্ধার্থ সাহা। পেশায় একজন পুলিশ অফিসার। চলেন সাধারণ মানুষের মতো। পুলিশ অফিসার হলেও জনসাধারণের বন্ধুর মতো করে চলেন তিনি। নেই কোনো অহংকার। জনসাধারণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা রাখেন সবসময়। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেন না তিনি। তাই অন্যায়কারী, অপরাধী, মাদককারবারী, সন্ত্রাস, চাদাঁবাজদ, দালালদের আতংকের নাম আইসি সিদ্ধার্থ সাহা।

উখিয়া উপজেলার ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে ২০১৯ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই নিরলস পরিশ্রমের গল্প উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকা জালিয়াপালং ইউনিয়নের গণমানুষের মুখে শুনা যায়।

আইসি সিদ্ধার্থ সাহা এমন একজন পুলিশ, যিনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নমনীয়তা দেখান না। যার ফল চোখ খুললেই দেখা যায়। একসময় জালিয়াপালং ছিলো মানবপাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট। মানবপাচারকারীদের মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে গিয়ে অনেকের প্রাণ গেছে সমুদ্রে। সিদ্ধার্থ সাহা ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি হিসেবে যোগদানের পর চিত্র পাল্টে যায়। মানবপাচার,ইয়াবা কারবার,দেহ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন তিনি। নিরলস পরিশ্রমে বর্তমানে মানব পাচারকারীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে।

ইনানী পাথুরে বীচ পর্যটন এলাকা হওয়াতে বিভিন্ন পর্যটকের আগমন ঘটে এই বীচে। ফলে অনেক পর্যটকদের হয়রানি, তাদের টাকা পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার সহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতো সন্ত্রাসীরা। যাদের কাছে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতো পর্যটকরা। কিন্তু সিদ্ধার্থ সাহা দিনরাত ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে চোর,সন্ত্রাস,ছিনতাইকারী চক্রকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। যার সুফল বর্তমানে ইনানী পাথুরে বীচে নির্ভয়ে দিনরাত ঘুরে বেড়াতে পারে পর্যটকরা। তাছাড়া বিভিন্ন ইয়াবা কারবারীদের কোনো অন্যায় সুপারিশ তোয়াক্কা না করে আইন অনুযায়ী নেন ব্যবস্থা।

উখিয়ার জালিয়াপালংয়ের জনসাধারণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আইসি সিদ্ধার্থ সাহা। জনসাধারণের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে দেখা যায় যখন আইসি সিদ্ধার্থ সাহার কাছে এসে সমস্যার সমাধান পান।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সিদ্ধার্থ সাহা জানান, আমি আমার ন্যায়, নীতি সততাকে বুকে ধারণ করে আইন অনুযায়ী সৎপথে চলতে থাকবো। যত বাধা আসবে আসুক না কেন অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করবেন না বলে জানান।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সিদ্ধার্থ সাহা এমন একজন সৎ পুলিশ অফিসার যার কাছে নেই কোনো দল, মতের পার্থক্য। তবে একটা গুণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। সেটি হচ্ছে সততা। কোনোমতেই অন্যায়,অবিচার, অপরাধীকে ছাড় দেন না তিনি। আইন অনুযায়ী নেন ব্যবস্থা। সে যেই দলের হোক না কেন,অপরাধ করলে ছাড় নেই।

সম্প্রতি স্বচক্ষে দেখা একটি সততার প্রমাণ, জালিয়াপালংয়ের হতদরিদ্র পরিবারের গরু চুরি করে নিয়ে যায় কিছু চোরচক্র। তা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক আইসি সিদ্ধার্থ সাহা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমে আটক করেন ঐ চোরচক্রের সদস্যদের। চোরদের স্বীকারোক্তি মতে গরুগুলো উদ্ধার করা হয় পাগলিরবিল থেকে। সিদ্ধার্থ সাহা নিজেই ঐ গরুগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে।নিজ জিম্মায় রাখেন গরুগুলো। পরে প্রকৃত মালিক খুঁজে তিনজন মেম্বারকে স্বাক্ষী রেখে গরুগুলো তুলে দেন প্রকৃত মালিকদের হাতে। গরুর মালিকদের আত্নখুশিতে মন ভরে যেতে দেখা যায়। কারো কাছ থেকে একটা টাকাও নেননি।

এমন সততার আরো শত শত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আইসি সিদ্ধার্থ সাহা। নিজেকে গড়েছেন সততাকে বুকে ধারণ করে। দায়িত্ব পালনে করে যাচ্ছেন অক্লান্ত পরিশ্রম। গরীব অসহায়দের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে ছুঁটে চলেন নির্দ্বিধায়। সিক্ত হয়েছেন হাজারো মানুষের ভালোবাসায়। এভাবে বুকে সততাকে ধারণ করে আজীবন বেঁচে থাকুক মানুষের হৃদয়ে। এমনটাই প্রত্যাশা জনসাধারণের।

পাঠকের মতামত: