কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এর ব্যতিক্রম ঘটেনি আইসি সিদ্ধার্থ সাহা’র কর্মকান্ডে

শফিক আজাদ, উখিয়া::

‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এর ব্যতিক্রম ঘটেনি উখিয়ার ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সিদ্ধার্থ সাহার কর্মকান্ডে। সিদ্ধার্থ সাহা পেশায় একজন পুলিশ অফিসার। চলেন সাধারণ মানুষের মতো। পুলিশ অফিসার হলেও জনসাধারণের বন্ধুর মতো করে চলেন তিনি। নেই কোনো অহংকার। জনসাধারণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন সবসময়। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেন না তিনি। অন্যায়কারী, অপরাধী, মাদককারবারী, সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ, দালালদের কোন স্থান নেই তার কাছে। এক শ্রেণীর সুবিধাবাদি নিজের স্বার্থ হাছিলে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। তবে স্থানীয় লোকজন আইসি সিদ্ধার্থ সাহার পক্ষে হয়ে এসব অপবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারি উখিয়া উপজেলার ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। যোগদানের পর থেকে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন অপরাধ, চুরি-ডাকাতি, খুন, ইয়াবা ও মানবপাচারের মতো অপরাধ কর্মকান্ড গুলো কমে এসেছে। স্থানীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের গণমানুষের মুখে মুখেও তার গুণগান শোনা গেছে।

জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ছোয়াংখালী এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে আলতাজ মিয়া (৫৬) বলেন, আইসি সিদ্ধার্থ সাহা এমন একজন পুলিশ অফিসার যিনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এক সময় আতঙ্কের জনপদ ছিল ছোয়াংখালী এলাকাটি, প্রতি রাতে গ্রামে ডাকাতি হতো, কিন্তু বর্তমানে সেই ডাকাতের তৎপরতা নেই, নেই কোন মানুষের মাঝে ভয়ভীতি। এর একমাত্র অবদান সিদ্ধার্থ সাহার।

ছোয়াংখালী উত্তর নৌ-ঘাটের সভাপতি, শামশুল আলমের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫) বলেন, বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং পত্রপত্রিকায় দেখেছি আইসি সিদ্ধার্থ সাহা নাকি প্রতি বোট থেকে চাঁদা নিয়ে থাকেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। মূলতঃ কতিপয় প্রভাবশালী লোকজন ইতিপূর্বে ওই ঘাট থেকে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা উত্তোলন করতো, সিদ্ধার্থ যোগদান করার পর থেকে এসব দালালেরা তার কাছে প্রশ্রয় না পাওয়াতে আর টাকা উত্তোলন করতে পারেননা, যার কারনে তারা এ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ছোয়াংখালী জামে মসজিদের খতিব মৌলভী রহমত উল্লাহ (৪৫) বলেন, সিদ্ধার্থ সাহা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী লোক হলেও তিনি সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করেন মুসলিমকে। আমি একদিন সোনারপাড়া থেকে রাতে মাহফিল শেষ ছোয়াংখালী ফেরার পথে আমাকে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দেখতে পেয়ে সালাম দিয়ে গাড়ি ভাড়া আছে কি না জিজ্ঞাসা করেন, সেই দিন থেকে আমি তাকে ভাল মানুষ বলে মনে করি। একই কথা ছোয়াংখালী এলাকার ছুরুত আলম (৬১), শাহ আলম (৫৫) সহ অসংখ্য লোকজনের।

জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছোয়াংখালী ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বলেন, সিদ্ধার্থ সাহা ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি হিসেবে যোগদানের পর এই এলাকার আইনশৃংখলার চিত্র পাল্টে গেছে। যেমন মানবপাচার, ইয়াবা কারবার, দেহ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন তিনি। নিরলস পরিশ্রমে বর্তমানে মানব পাচারকারীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। দালাল বিহীন বিচার কার্য তিনিই দেখিয়েছেন ফাঁড়িতে।
এক সময় প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতো পর্যটকরা। কিন্তু সিদ্ধার্থ সাহা দিনরাত ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে চোর, সন্ত্রাস, ছিনতাইকারী চক্রকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। যার সুফল বর্তমানে ইনানী পাথুরে বীচে নির্ভয়ে দিনরাত ঘুরে বেড়াতে পারে পর্যটকরা। তাছাড়া বিভিন্ন ইয়াবা কারবারীদের কোনো অন্যায় সুপারিশ তোয়াক্কা না করে আইন অনুযায়ী নেন ব্যবস্থা। তার পরিশ্রমের কারনে জালিয়াপালং ইউনিয়নের আইশৃংখলার স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সিদ্ধার্থ সাহা জানান, আমি আমার ন্যায়, নীতি সততাকে বুকে ধারণ করে আইন অনুযায়ী সৎপথে চলতে থাকবো। যত বাধা আসবে আসুক না কেন অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করবেন না বলে জানান।

পাঠকের মতামত: