কক্সবাজার, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া আইসোলেশন সেন্টার নামে থাকলেও কাজে নেই, এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গার মৃত্যু

উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গা চিকিৎসাধীন অবস্হায় মৃত্যু বরন করেছেন। এ প্রথম করোনা আক্রান্তে রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। কক্সবাজার শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয় কারী ডা :আবু তোহা এম আর এইচ ভুঁইয়া বলেন সোমবার রাতে বলেন মারা যাওয়া শরনার্থী ৭১ বছরের বৃদ্ধ। তিনি সারি আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি আরে বলেন ১জুন কক্সবাজার মেডিকেল ল্যাবে যে ৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে তার মধ্যে একজন পজিটিভ আর অপর ৪ জন ফলোআপ রোগী। এছাড়া

এ পর্যন্ত ২৯ করোনা রোগী পজিটিভ হয়েছেন এবং ৩০ জনের অধিক আইসোলেশন (সারি) সেন্টারে চিকিতসা নিচ্ছেন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পিসিআর ল্যাবে ২৮৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৯৬ টি নমুনার ফল আসে পজিটিভ।এ মধ্যে ৫ রোহিঙ্গাও রয়েছে। করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া রোহিঙ্গারা হচ্ছেন উখিয়ার ক্যাম্প-৭ ব্লক-এ ইসমত আরা(১৮), ক্যাম্প-৯ বল্ক-এ৪ এর আবু সৈয়দ(৭৪),ক্যাম্প-৬ সৈয়দ আলম(৩৬),কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প ব্লক-সি সাইট-২১ ৫নং বাড়ীর আবুল করিম(৭১), এবং ক্যাম্প-৬ ব্লক-ই ৩ এর নুর জাহান(২৪)।

এছাড়া এদিন ক্যাম্পে দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ডাক্তার ও স্বাস্থ কর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদিকে প্রথম কোনো রোহিঙ্গা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবরে শরণাথী শিবিরগুলোতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গা মাঝিরা জানিয়েছেন, করোনায় তাদের একজনের মৃত্যূর খবরে লোকজন ভয়ে আছে। তাদের অভিযোগ রোহিঙ্গাদের এ ভাইরাস কখনো ছিল না।তারা এ প্রথম এ নাম শুনেছেন। মুলত ক্যাম্পে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওতে কর্মরতদের মাধ্যমে এ ভাইরাসটি তাদের মধ্যে ছড়িয়েছে। আর ক্যাম্পগুলো ঘন বসতি হওয়ায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে এখন রোহিঙ্গারা। তাদের মতে, ক্যাম্পগুলোতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ রোধে চোখে পড়ার মতো কার্যক্রম নেওয়া হয়নি। কীভাবে এই ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়, সেটি অনেকেই এখন পর্যন্ত জানে না।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে উখিয়া থানার সাব ইনস্পেক্টর মোরশেদ আলিম অভিযোগ করেন, দেশে সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে উখিয়া আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসার পর থেকে দেখবাল করারমত কেউ নেই। তিনি আরও বলেন, ২ দিন আইসোলেশন সেন্টারে  থাকার পর চিকিৎসা দেওয়ার কথা দূরে এক গ্লাস পানিও মেলেনি। পরে কক্সবাজার পুলিশ সুপারকে কল দিয়ে অবহিত করলে তাকে কক্সবাজার নিয়ে যায়।

পাঠকের মতামত: