কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে দীর্ঘ দিনের জমি বিরোধ নিষ্পত্তি করলেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান

আমিনুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)::

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নে দু’পক্ষের সীমানার বিরোধের জের ধরে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলে আসা হামলা ও মামলার নিষ্পত্তি করলেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যন নুরুল আবছার। ২৭০নং নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজার উত্তর ছালামী পাড়ার মোঃআমিনের পুত্র নুর হোসেন গং ও মৃত আমির আলীর পুত্র ছৈদ আহমদ গং এর মধ্যে জমির মালিকানার বিরোধের জের ধরে উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে বান্দরবান জেলা জর্জ কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় তাদের এ মামলা। ৪০ বছর ধরে উভয় পক্ষ মামলার ঘানি টানতে নিঃস প্রায়। অবশেষে সদর ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় নিষ্পত্তির আলো দেখল উভয় পক্ষ। বাদি নুর হোছন ও বিবাদী ছৈয়দ আহমদ উভয়ে জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমরা এ মামলা চালাতে গিয়ে উভয় পক্ষের জমির ৩গুন টাকা ব্যয় করেছি। কিন্তু কোন ফল পাইনি। এর মধ্যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিনিধি এই বিরোধের সঠিক সমাধানে এগিয়ে না আসায় আমরা উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

অবশেষে তরুন চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের মাধ্যমে সামাধান হওয়ায় আমরা উভয় পক্ষ সন্তুুষ্ট। স্থানীয় সূত্রে জানায়, ৪০ বছর ধরে এ বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে হানাহানির ঘটনাও ঘটেছে প্রায় সময়। দীর্ঘদিন পর হলেও উভয় পক্ষকে এক করে এ বিরোধের নিস্পত্তি করার জন্য সদর ইউপি চেয়ারম্যানকে কৃতজ্ঞতা জানান সর্বস্তরের মানুষ। এই বিষয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানান, চাকঢালা-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে উত্তর ছালামী পাড়ায় প্রায় ৪ একর জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। জমির দক্ষিণে বাদী নুর হোছন, উত্তরে বিবাদী ছৈয়দ আহমদ দাবি করলেও মামলার কারণে ৪০ বছর ধরে ভোগ দখলে যেতে পারে নি তারা।

এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে উভয় পক্ষকে এক করতে সক্ষম হয়েছি।আজ তাদের আন্তরিকতায় তাদেরই দাবিতে উভয় সীমানার মাঝখানে ১২ফুট জায়গা রেখে তাতে সকলের যাতায়তের জন্য রাস্তা নির্মাণ করে দিচ্ছি। আগামীতে পারাপারের ছড়াতে ৩৫ মিটারের একটি পিআইও ব্রিজ করারও আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান নুরুল আবছার( ইমন)

পাঠকের মতামত: