কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এটি আঘাত হানতে শুরু করবে সন্ধ্যার দিকে। আর মঙ্গলবার কাল ভোর নাগাদ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রটি অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সাগর। পায়রা ও মোংলা বন্দরে ৭ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল আছে। এছাড়া নদীবন্দরে জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, উপকূলীয় জেলার দ্বীপ এবং চরে ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ভোলার নিম্নাঞ্চল। বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে বৃষ্টি।

এদিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘুর্নিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করবে। আর মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর নাগাদ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রটি অতিক্রম করবে।

প্রতিমন্ত্রী আর জানান, দেশের ১৩টি জেলায় ঘূর্ণিঝড়টি মারাত্মকভাবে আঘাত হানতে পারে। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী।

পাঠকের মতামত: