ইমাম খাইর, কক্সবাজার::
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরকে রেড জোনভুক্ত করেছে প্রশাসন।
শুক্রবার (৫ জুন) দিবাগত রাত ১২ টা থেকে দ্বিতীয় দফায় লক ডাউন শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০ জুন রাত ১২ টায়। প্রাথমিকভাবে পৌরসভার ১২টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে শুক্রবার জরুরি নির্দেশনা জারি করেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।
শনিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনসাধারণ এবং যানবাহন চলাচলের উপর জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে জনসাধারণকে বাসার বাইরে না আসতে অনুরোধ করা হচ্ছে। মাঠে রয়েছে প্রশাসনের শক্তিশালী টিম।
দেখা গেছে, দুপুরে বিমানবন্দর সড়কের প্রবেশমুখে নিজের টিমসহ দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
এ সময় কথা হলে তিনি জানান, নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে এটিই সুযোগ। অজুহাত দেখানো মানে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া।
করোনা সংক্রমণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ায় কক্সবাজার শহরকে রেড জোন ঘোষণা করে প্রশাসন।
এই সময়ে প্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচল, ঔষধের দোকান এবং সপ্তাহে দুই দিন কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। একান্ত জরুরী ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবেনা।
রেড জোন এলাকার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা হলো-
ক. সকল প্রকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবে।
খ. সকল ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকরী হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। কোভিড ১৯ মোকাবেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি চলাজচলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি গ্রহণ করবে। এম্বুলেন্স, রোগী পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যত্তিবর্গের (অনডিউটি) পরিবহন, কোভিড ১৯ মোকাবেলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি এর আওতার বাইরে থাকবে।
পাঠকের মতামত: