কক্সবাজার, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সামাদের অনতিবিলম্বে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কক্সবাজার প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর প্রশিক্ষণার্থীরা।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের বাহারছড়া পিটিআই এর সামনে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী সহকারী শিক্ষকরা এ মানববন্ধ করেন।

তাদের অভিযোগ, স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মো. আব্দুস সামাদ যোগদানের পর থেকেই কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অধিদপ্তরের সম্মানহানি হচ্ছে। তার ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্তের কারণে সারাদেশের কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণার্থী কষ্ট পাচ্ছেন। যোগ্যতা থাকা সত্বেও অনেকের পদোন্নতি হয়নি। অযোগ্যদের প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসিয়ে রাখছেন। শ্রম আইন লঙ্ঘন করে প্রতিটি সেক্টরের জনবলকে ইচ্ছেমতো কাটানো, প্রশিক্ষণ ভাতায় বৈষম্য, সকাল-সন্ধ্যা কাজে কাটানো হচ্ছে।

মানববন্ধনে তারা অভিযোগ করে বলেন, স্বজনপ্রীতির কারণে ডিজি মো. আব্দুস সামাদ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের পছন্দের জায়গা ও বিভাগে পদায়ন করেছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিচয় চিহ্নিত করে সরকারবিরোধী তকমা লাগিয়ে ত্যাগী মেধাবী ও যোগ্য কর্মকর্তাদের কোণঠাসা করেছেন সব সময়।

এসময় তারা দাবি তুলে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সামাদকে অপসারণ করতে হবে। আমরা সব বৈষম্যের অবসান চাই। নন ক্যাডার অনভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। বিটিপিটি এর ভাতা বাড়াতে হবে। কথায় কথায় মামলার হুমকি বন্ধ করতে হবে।

তারিকুল ইসলাম নামের এক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, আগের সেই যুগ এখন নেই। আগে এসএসসি-এইচএসসি পাশ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হওয়া যেত, কিন্তু এখন এ পদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা যোগদান করছেন। সকলেই সচেতন। তাদের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে।

প্রশিক্ষক মাইন উদ্দিন রুবেল বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিক্ষকবান্ধব নয়। তিনি অযোগ্য ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে রাখছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত নয় এমন অনেকে রয়েছে। শ্রম আইন লঙ্ঘন করে নিদির্ষ্ট সময়ের বাইরে গিয়েও প্রশিক্ষকদের কাটানো হয়। রাত-দিন কাজ করতে হয়। এরপরও যে প্রশিক্ষক ভাতা দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ১৮ বছর ধরে পদোন্নতি নেই। মহাপরিচালকের কারণে দুর্নীতিতে ভরে গেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আমরা মহাপরিচালক মো. আব্দুস সামাদের অপকর্ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মাঠে নেমেছি। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

মানববন্ধনে কক্সবাজার প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর প্রশিক্ষক লিডারশীপ নুরুল আলম, সহ-সুপার রুহুল আমিন, মাইন উদ্দিন রুবেল, মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. মানজুরুল হাসান, প্রশিক্ষক রিফাত মল্লিক, নাসরিন আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, আতিকুর রহমানসহ ৭৯ জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: