কক্সবাজার, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারে বনকর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৫

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া::

কক্সবাজারে পাহাড় কেটে পাকা স্থাপনা নির্মাণের খবরে পরিদর্শনে যাওয়া বনকর্মী ও বনপাহারা দল (সিপিজি) সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় বনকর্মীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মহুরীপাড়ায় আবু বক্কর ওরফে রোহিঙ্গা ইউসুফ ড্রাইভারের জবরদখল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার খবরে একইদিন বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে বনবিভাগ অভিযান চালায়। এসময় নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি জবরদখল করে রাখা পাহাড় কেটে পাকা স্থাপনা করার খবর পায় স্থানীয় বিট অফিস। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে লিংকরোড বিটের বিট কর্মকর্তা সোহেল হোসেন বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান। সেখানে পৌঁছালে এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার এনামুল দলবল নিয়ে বনকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সিপিজি নারী সদস্যকে চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালে মেরে রক্তাক্ত করে তারা। এসময় আরও চার বনকর্মী গুরুতর আহত হন। অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়। বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যদের হামলাকারী আবু বক্কর সিদ্দীক ওরফে রোহিঙ্গা ইউসুফ ড্রাইভার, তার ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার এনামুল হক, মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার, স্ত্রী জুহুরা বেগম ও বোন জোহারা আকতারসহ অজ্ঞাতদের ধরা যায়নি।

অভিযানে লিংকরোড বিট কর্মকর্তা সোহেল হোসেন, হিমছড়ি বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জমান সোভন, ঝিলংজা বিট কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, চেইন্দা বিট কর্মকর্তা ফছিউল আলম শুভ এবং বিটের স্টাফসহ সিপিজি সদস্যারা অংশ নেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, বনবিভাগের সঙ্গে গিয়ে অভিযানে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বনবিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বনবিভাগ চাইলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পাঠকের মতামত: