কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করার দাবি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত কক্সবাজারের চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।
ডক্টরস এন্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস অব কক্সবাজার নামের একটি সংগঠণের মিলন মেলায় এই দাবি জানানো হয়।
কক্সবাজারের চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ২০০৯ সালে চালু হয়। কিন্তু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখনো চালু করতে না পারা দু:খজনক। এটা চালু হলে কক্সবাজারবাসি চিকিৎসা সেবা আরো বেশি এগিয়ে যাবে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন কক্সবাজারের একটি বিলাসবহুল হোটেল সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী আয়োজিত মিলন মেলায় কক্সবাজার জেলার স্থানীয় বাসিন্দা চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কক্সবাজার জেলার সকল শ্রেণী-পেশা মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের সব জেলায় কক্সবাজারের সন্তানরা চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। একই সঙ্গে বিদেশেও চিকিৎসক হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করেছে। ফলে এ জেলার মানুষ যেন স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য তারা অঙ্গিকারবদ্ধ।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: জাহিদুল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সাফওয়াত হক ইমন, গীতা থেকে পাঠ করেন, ঐশ্বরিয়া দাশ, ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন, উখিয়ায় কর্মরত ডা: সুভাশিষ বড়ুয়া। এরপর করোনাকালিন সংকটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহীদ কক্সবাজারের চিকিৎসকদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
কক্সবাজার জেলার প্রত্যেকটা উপজেলা থেকে আগত কক্সবাজারের ভূমিজাত সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন স্বনামধন্য হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র চিকিৎসক ও সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সকলেই জানান, করোনার মহামারীতে কক্সবাজার সহ সারা দেশে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বে পালনে কক্সবাজারের সন্তানরা সুনাম অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে দেশের যে কোন র্দূযোগ মূহুর্তে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
চার শতাধিক চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীর মিলন মেলায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সায়মুম সারোয়ার কমল, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, বিএমএ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ডা: পুচনু।
চিকিৎসকদের মধ্যে বক্তব্য রাখে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক অনকোলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা: একেএম রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) ডা: মেজবাহ উদ্দিন, বিএমএ কক্সবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতি ডা: রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ডা: ইফতেখার উদ্দিন কুতুবী, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা: বিধান পাল, উখিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রঞ্জন বডুয়া রাজন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নোবেল কুমার বড়ুয়া বিএমএ কক্সবাজার জেলার সাংস্কৃতিক ও অপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ডা : শাহেদুল ইসলাম শার্দুল, সিভিল সার্জান কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা : জামশেদুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (নিউরোসার্জারী) ডা: শামসুল ইসলাম খান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এসএ আরেফিন ইতায়াদ ইতু, ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ইমা, শারমিন আক্তার সোনিয়া, সিআইএমসি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আতহার ফুয়াদ তালুকদার, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ত্বকী তাজওয়ার সাদ এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আহমেদ হাসনাইন জোহের, সিলেট মিডিকেল কলেজের রুবাইদা আনহা। উপস্থিত চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থী কক্সবাজারে বসে সকল জটিল রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্র সহ সহযোগিতা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
পাঠকের মতামত: