কক্সবাজার, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবার প্রস্তাব পাস

মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে কোনো দেশ বিরোধীতা না করায় প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (২১ ডিসেম্বর) পরিষদ সভায় মিয়ানমার বিষয়ক রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, রেজুলেশনে মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জরুরি অবস্থা ও বন্দি মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। এছাড়া এতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বিষয়টিকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ মিশন জানায়, ভোটে এই রেজুলেশনের বিপক্ষে কোনো সদস্য দেশ ভোট কিংবা ভেটো দেয়নি। এসময় চীন, ভারত ও রাশিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স, মেক্সিকো, গ্যাবন ও নরওয়ে এ রেজুলেশনে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি করায় নিরাপত্তা পরিষদের প্রশংসা করে। একই সঙ্গে এ সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের জোরালো ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানায়। এছাড়া রেজুলেশনটি উত্থাপন করায় যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মিয়ানমারে অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ২০১৭ সালে ৮ লাখের অধিক রোহিঙ্গাসহ এ পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেন। শুরু থেকেই তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এই রেজুলেশনটি পাস হওয়ায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মিত কার্যকলাপের অংশ হলো। প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, নিরাপত্তা ও মানবিক সহযোগিতা করার কারণে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়।

প্রসঙ্গত, রেজুলেশনটির ‘পেন হোল্ডার (মূল স্পন্সর)’ নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য। গত তিনমাস ধরে আলোচনা শেষে এটি নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়। ভারত নিরাপত্তা পরিষদের ডিসেম্বরের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে রেজুলেশনটি গৃহীত হলো। এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় সফল বাংলাদেশ।

পাঠকের মতামত: