নিজস্ব প্রতিবেদক•
চিকিৎসা নিতে গিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসার এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ জনের মধ্যে ফুতু আক্তার(২০) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার ভোরে শিশু আয়ান (৩) এর মৃত্যু হয়। নিহত দু’জন সম্পর্কে খালা-ভাগ্নে।
এছাড়াও মুমূর্ষু অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন আয়ানের নানা আব্দুল মান্নান ও মা রক্সি আক্তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মান্নানের ভাইপো আলী আরফাত। এদিকে এর আগে আয়ান, ফুতু এবং মান্নানসহ একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পরে আহতদের পরিবার জানায়, মান্নানের মৃত্যু হয়নি তবে মুমূর্ষু অবস্থায় লাইফ সাপোর্ট চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ফুতু আক্তারের মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (১২ জুন) তিন বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়েছিলো।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রক্সি আক্তারের মস্তিষ্কে টিউমারের অস্ত্রোপচার করাতেই ঢাকায় যান রক্সি আক্তারসহ পরিবারের ৪ সদস্য। সেখানে গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। গত সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় ওই বাসায় এসি বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হয় শিশু আয়ান (৩), তার নানা আব্দুল মান্নান (৫৫), মা রক্সি আক্তার (২৩), খালা ফুতু আক্তার (২০)।
তাদের বাড়ি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তিতা মাঝির পাড়া এলাকায়।
রক্সির দেবর আহমদ মোস্তফা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ভাড়া নেওয়া বাসাটিতে বিদ্যুৎ ছিলো না, পরে বিদ্যুৎ এলে হঠাৎ এসি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই কক্ষে থাকা ৪ জনই দগ্ধ হয়। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন।
প্রথমে তাদের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওইদিন রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, শিশু আয়ানের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গতকাল ভোরে তার মৃত্যু হয়। মা রক্সির শরীরের ৫৫ শতাংশ, ফুতুর ৫৫ শতাংশ ও আবদুল মান্নানের শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়ান ও ফুতু আক্তারের মৃত্যু হয়, এদিকে রক্সি আক্তার ও তার বাবা আব্দুল মান্নানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত: