কক্সবাজার, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

তিন দিনের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

টানা তিন দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। পাশাপাশি শেষ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা। সব মিলিয়ে ভ্রমণে মেতে ওঠেছে দেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষ।

টানা ছুটি কাজে লাগাতে ইতোমধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক আসা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতেই বাসে কক্সবাজার এসে পৌছেঁছেন কয়েক হাজার পর্যটক। টানা ছুটি শুক্রবার থেকে শুরু হলেও বৃহস্পতিবার রাতেই পর্যটন শহরের অলিগলিতে পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে পদচারনা বেড়েছে পর্যটকদের।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল, গেষ্ট হাউসের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষ করে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেলে কোন রুম নেই। পাশাপাশি শুক্রবার বুকিং থাকার কারণে যে সব পর্যটক একদিন আগে বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার পৌছেঁছে। তারাও রুম পেতে হিমশিম খাচ্ছে।

কারণ শুক্রবারের বুকিং করা গেস্টদের যথাসময়ে রুম সার্ভিস দেওয়ার জন্য অনেক হোটেল রুম ফাঁকা রেখেছে। ফলে বৃহস্পতিবার বিপুল সংখ্যক পর্যটককে লাগেজ হাতে কলাতলী এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।

জানা যায়, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সঙ্গে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) যোগ হয়েছে বড়দিনের ছুটি। সব মিলিয়ে তিন দিনের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করেছে।

টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ভালো সাড়া পেয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ব্যাবসায়ীরা। আর পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীরা।

এদিকে পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। কক্ষ পেতে ব্যাগপত্র নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা গেছে।
অন্যদিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে, হাজারো পর্যটকের ভিড়। কেউ বালিয়াড়িতে দৌঁড়ঝাপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন পর্যটকরা।

আর তাদের ভ্রমণ ও আনন্দ নিরাপদ করতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরেও।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কয়েকলাখ পর্যটকের সমাগম হতে পারে। তাই আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিমও কাজ করছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই সজাগ আছি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় মাঠে আছি। খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু দাম নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে যাচ্ছি। সুতরাং কক্সবাজার এসে কোন পর্যটক আশাকরি হয়রানী কিংবা ভোগান্তির শিকার হবেনা।

পাঠকের মতামত: