কক্সবাজার, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

পোরশায় পুনর্ভবা নদিতে ২৭ স্থানে বাঁশের ব্যারিকেট অবৈধ সুতি জালে পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন

 

নওগাঁর পোরশা উপজেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পূর্ণভবা নদীতে অবৈধ সুতি জাল দিয়ে প্রকাশ্যেই পোনাসহ মা মাছ নিধন করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পোনা ও মা মাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। নদির ২৭ স্থানে চিনে তৈরী নিষিদ্ধ ওই সুতি জাল বা রিং জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা ও মা মাছ। আর এসব জেনেও স্থানীয় মৎস অধিদপ্তর নীরব ভুমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৈধ রিং জাল, কাপাজাল, ভাসা জাল, কারেন্ট জাল, সুতি জালসহ নানা ধরনের জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন কিছু জেলে এবং জেলে নয় এমন ব্যক্তি। এতে এসব নিষিদ্ধ জালে প্রতিদিন ধরা পড়ছে অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এর সাথে বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ। আর সহজেই জাল পাতানোর জন্য নদির বিভিন্ন স্থানে বাঁশের ব্যারিকেট দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন অবাধে মাছের পোনা নিধনের জন্য এই ব্যারিকেট মরন ফাঁদে পরিনত হবে। অতীতে অনেক গরু-ছাগল বাঁশের তৈরী এই ব্যারিকেটে আটকিয়ে মারাগেছে। তবে মাছ নিধনের মহাযজ্ঞ বন্ধ না হলে যেমন অনেকে ক্ষতির সম্মখিন হবে অপরদিকে নদি থেকে হারিয়ে যাবে অনেক প্রজাতির মাছ। নদিটির কয়েকটি বিল শকুনের বিল, হলদীর বিল, মাহারোটের বিল, চন্দের বিল, বোগলা উগাল বিলের বিস্তির্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, এসব স্থানে বাঁশের খুঁটি গেড়ে ছোট ফাঁসের জাল পেতে অবাধে মাছ ধরা হচ্ছে। এছাড়াও ছোট ছোট নৌকায় করে অবৈধ ঐসব জাল দিয়ে চলছে পোনামাছ নিধনের মহোৎসব। এসব জাল দিয়ে তারা টেংরা, ছোট আইড়, ছোট বোয়াল মাছ, পবদা, পুঁটি,টাকি, গুচি,বাইম ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছোট ফাঁসের এসব জালে আটক করছেন। ক্ষুদ্রাকৃতির এসব পোনামাছ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে এই এলাকায় নদী ও খাল বিলে দেশীয় মাছের সংকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে মনে করছেন আনেকে। প্রশাসনের নাকের ডগায় পোনা মাছ নিধন অনেকটা ওপেন সিক্রেট হলেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য অদিদপ্তর যেন নির্বিকার। এসব কার্যক্রম উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে মাত্র ১ কিলোমিটারের মধ্যে হলেও নজর নেই মৎস্য কর্মকর্তার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদীতে মাছ ধরা কয়েকজন জেলে বলেন, সবাই মাছ ধরছে, এজন্য সেও ধরছে। এপর্যন্ত মাছ ধরতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে যখন প্রশাসন বাধা দিবে তখন তারা মাছ ধরবেনা বলে জানান। উপজেলা মৎসজীবী সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জানান, এগুলো সুতি জাল দিয়ে মাছ ধরার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, জেলেরা অবৈধ বিভিন্ন জাল দিয়ে পোনা মাছ নিধন করছেন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে তারা সজাগ রয়েছেন এবং আগেও অভিযান পরিচালনা করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: