টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ১০টি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু এবার কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী জাহাজটি ছাড়া টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ চলাচল করছে না। কর্ণফুলী জাহাজে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ ব্যয়বহুল। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পর্যটকরা এটাতে ভ্রমণ করতে পারেন না। এছাড়া কর্ণফুলী জাহাজের ধারণক্ষমতাও কম। তাই কক্সবাজারে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পর্যটকের আগমন বিগত সময়ের চেয়ে কমেছে। টেকনাফে বর্তমান ঘাট থেকে সমস্যা হলে সাবরাংয়ের জেটি দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু করা যায়। এখান থেকে জাহাজগুলো সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছানো অনেক সহজ, ভাড়াও বাড়বে না, সময়ও কম লাগবে।
সেন্টমার্টির দ্বীপের আবাসন ব্যবসায়ী মো. দিদারুল আলম বলেন, সেন্টমার্টিনের প্রায় ১০ হাজার মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত। বাকি ১০ শতাংশ মানুষের রুটিরুজি নির্ভর করে সাগরে মাছ ধরায় ?আর পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৯০ শতাংশ মানুষের আয় হয় মাত্র চার মাস। বছরের বাকি সময়টা তারা চার মাসের আয় দিয়ে চালায়। কিন্তু ভরা মৌসুমেও দ্বীপে আশানুরূপ সংখ্যক পর্যটক যেতে না পারায় আমাদের লগ্নি উঠে আসবে বলে মনে হয় না। আয় বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে আমাদের। তাই অতি দ্রুত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, অর্ধসহস্রাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজ ও কটেজ মালিক ভরা মৌসুমেও পর্যটক না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। আমাদের শতকোটি টাকা ঋণ চলমান, ব্যবসা না পেলে ঋণের কিস্তি পরিশোধে হিমশিম খেতে হয়।
কক্সবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পর্যটন সম্ভাবনাময় শিল্প। এর প্রসারে সরকার করণীয় সবকিছুই করছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ নাব্য সংকটজনিত কারণে। বিকল্প প্রস্তাবনা নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন মহলে লিখেছি। এখানে নৌ-মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা আছে। আমাদের পাঠানো চিঠির বিষয়ে নির্দেশনা এলে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
পাঠকের মতামত: