দালালের খপ্পরে পড়ে না জেনে, না বুঝেই মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক নারী। সেখানে যাওয়ার পর মিলছে না প্রত্যাশিত চাকরি। কারও আবার থাকার জায়গা এবং খাবারও জুটছে না। শারীরিক ও অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে দেশে ফেরার আকুতি অনেকের। পুলিশ বলছে, এর পেছনে দায় রয়েছে ভুক্তভোগীদেরও।
তিন দিন ধরে না খেয়ে আছেন মাদারীপুরের দোলা। দেশে তার অন্তত তিনবেলা খাবার জুটত। ভাগ্য ফেরাতে সৌদি গিয়ে তার এখন এ পরিণতি।
খাবারের সংকটই একমাত্র সমস্যা নয় দোলার। নিয়মিত শারীরিক নির্যাতনও সহ্য করতে হচ্ছে তাকে। পরিবার এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার দেশে ফেরার আকুতি।
গত ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের সহায়তায় দোলা দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন চার মাস পর। তার মতো অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়ে গত কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফিরেছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বিবাহিত মহিলার, তাদের সন্তানও রয়েছে। তাদের সবাইকে না জানিয়ে দালালের মাধ্যমে বিদেশে পাড়ি দেন। সেখানে গিয়ে অনেক হাত ও পা ভেঙেছে। এদের মধ্যে অনেককে না খাবারও দেয়া হয়নি।
এদিকে বিদেশ যাওয়ার আগে অনেকেই যাচাই করেন না কাগজপত্র, নেই প্রশিক্ষণও। শুধু বিবেচনায় রাখেন আর্থিক দিকটি। ফলে এই ধরনের ঘটনায় দায় রয়েছে ভুক্তভোগীদেরও, বলছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, দালালের ফাঁদে পা দিয়ে বিদেশযাত্রা বন্ধ না হলে এই ধরনের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
পাঠকের মতামত: