নিজস্ব প্রতিবেদক::
জীবনের তাগিদে সীমান্তের পাহাড়ে লাকড়ি আনতে গিয়ে মিয়ানমারের আরকান আর্মি পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে উখিয়া উপজেলা এক তরুণের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রাইমারি চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে আসেন৷ কিন্তু ঐ চিকিৎসায় সে পুরপুরি সুস্থ হয়নি৷ এখন আবার পচন ধরা বিচ্ছিন্ন পা নিয়ে চিকিৎসার অভাবে বিছানায় কাতরাচ্ছে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকার আব্দুল করিম৷
আব্দুল করিম জানান, আমি দিনমজুর হিসেবে এলাকায় কাজ করি৷ জানুয়ারি মাসে মাঝামাঝি সময়ে ঘরের রান্না-বান্নার লাকড়ির জন্য সীমান্তের পাহাড় যায়৷ সেখানে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আমার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতা হাসপাতালে প্রাইমারি চিকিৎসা দেওয়ার পর এখন পচনধরা শুরু হয়েছে৷ এখন এই পা অপারেশনের মাধ্যমে আমার জীবন ফিরে পেতে পারি৷ কিন্তু আমার অপারেশন করার মতো অর্থ না থাকায় বাড়িতে বিচ্ছিন্ন পা নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছি৷ যদি কেউ সামান্য সহযোগিতা করে তাহলে আবারও ফিরে পেতে পারি জীবন।
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল উদ্দিন সুজন জানান, দিনে এনে দিনে খাওয়া আব্দুল করিম এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বিছানায় কাতরাচ্ছে৷ তাঁর পাশে কোনো বৃত্তবান চোখতোলে তাকালে বদলে যেতে পারে তাঁর জীবন৷
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান জানান, বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে লাকড়ি আনতে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পা৷ এখন তাঁর চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রয়োজন৷ আমি নিজ উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করবো৷ যদি কোনো বৃত্তবান সহযোগিতা করে তাহলে করিম সুস্থ হবে৷
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, আপনার মাধ্যমে শুনেছি তবে সে এখনো যোগাযোগ করেননি৷ তারপরও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাঁকে সহযোগিতা করা হবে৷
পাঠকের মতামত: