কক্সবাজার, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করলে গ্যাস পাইপ লাইন থাকবে না: বাইডেন

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন রাখাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ্ এর সঙ্গে সোমবার ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নবনির্মিত নর্ড স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপ লাইন নিয়ে হুমকি দিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, মস্কো যদি ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়, তাহলে জার্মানিকে গ্যাস সরবরাহ করা রাশিয়ার লাভজনক দ্বিতীয় গ্যাস পাইপ লাইনটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘কেবল যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা আক্রমণের কথা বলছে। ‘ ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

নর্ড স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপ লাইন কিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে বাইডেনের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। তবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি বাইডেন। তিনি শুধু বলেছেন, আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- এটা আমরা করতে পারব।

জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওয়াশিংটনে প্রথমবার সফরে গেছেন শলৎজ। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায়, সে ক্ষেত্রে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ঐক্যবদ্ধ বলে জানিয়েছেন তিনি। শলৎজ বলেছেন, একই পদক্ষেপ নেব আমরা। আর সেটা রাশিয়ার জন্য বেশ কঠিন হবে।

এদিকে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ইউক্রেন সঙ্কট কমানোর ব্যাপারে আগামী দিনগুলো হবে গুরুত্বপূর্ণ। মস্কোতে বৈঠকের পর সোমবার স্থানীয় সময় রাতে এ কথা বলেন ম্যাখোঁ।

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্যদের ব্যাপক উপস্থিতির পর কোনো পশ্চিমা নেতার সঙ্গে এটাই পুতিনের প্রথম শীর্ষ বৈঠক। ম্যাখোঁ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সামনে চূড়ান্ত দিনগুলো আসছে এবং নিবিড় আলোচনার প্রয়োজন; যাতে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি। ’

পুতিন বলেছেন, ম্যাখোঁর কিছু প্রস্তাব ‘আরও যৌথ পদক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করতে পারে’। পুতিন আরও বলেন, তারা ‘দৃশ্যত কথা বলার জন্য বেশি তাড়াহুড়ো করছেন’।

পুতিন আগের সতর্কতা পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, ইউক্রেন যদি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেয়, ইউরোপে একটি বড় সংঘাত হতে পারে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সের সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান, ‘আপনারা কি চান ফ্রান্স রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করুক? সেক্ষেত্রে কী ঘটতে পারে… কেউ বিজয়ী হবে না। ’
সূত্র: বিবিসি, এপি।

পাঠকের মতামত: