নিজস্ব প্রতিবেদক::
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত সকল স্থানীয় শিক্ষক শিক্ষিকার বেতন বৃদ্ধি সহ ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীতে ৭দিনের আল্টিমেটাম।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত উখিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বালুখালি, টেকনাফের উনচিপ্রাং ও হ্নীলা সহ বিভিন্ন এলাকায় এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এতে উখিয়া টেকনাফের ৩২ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। এসময় নানান ধরনের দাবী সংবলিত পোষ্টার, পেস্টুন দেখা যায়।
সাধারণ শিক্ষকরা বলেছেন দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করছি। সব কিছু দাম বেশি। তবে বেতন ভাতা আগের মত। আমাদের সাথে এনজিও রা বৈষম্য করছে। প্রতি বছর রোহিঙ্গা শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হয়। কথায় কথায় ছাঁটাই করে।
চার দফা গুলো হলো, ১. সর্বনিম্ন বেতন বাইশ হাজার পাঁচশত টাকা করতে হবে৷ ২. শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং ভাতা প্রদান করতে হবে। ৩. ক্লাস্টার সিস্টেম বাতিল করা এবং বিনা কারণে শিক্ষক /শিক্ষিকা ছাঁটাই করা যাবে না৷ ৪. প্রতি বৎসর ২ ঈদে উৎসব ভাতা প্রদান করতে হবে৷
উখিয়া শহিদ মিনারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য দেন, উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাদমান জামি চৌধুরী, মাহবুব আলম রবিন, বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ শামিম, ঈসমাইল ও ইমতিয়াজ।
এসময় বক্তারা বলেছেন, দ্রত দাবীগুলো মানতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন চলবে। আর ও বড়ধনের কর্মসূচীতে আসতে পারে। দিন দিন বিভিন্ন জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর পর উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আবারো অবস্থান নেন শিক্ষকরা। উখিয়া টেকনাফের ৩২ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত সকল হোস্ট টিচারদের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেনের সাথে স্বাক্ষাত করেন। তাঁদের সকল দাবী দাওয়া মনোযোগ সহকারে শুনেছেন বলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে।
পাঠকের মতামত: