কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ২৪ দেশের সামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজারের একটি তারকামানের হোটেলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ৪৬ তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্ট সেমিনারে গোল টেবিল বৈঠক শেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যায় সেনা কর্মকর্তাদের টিম।
সেমিনারটির প্রতিপাদ্য ছিল- “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি”।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।
এনিয়ে বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো এ সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ।
সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল- পারস্পারিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করা।
এছাড়াও সেমিনারে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সদস্যগণ বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা মিশন ও এর করণীয় শীর্ষক ব্রেক আউট সেশন এবং জুনিয়র নেতৃবৃন্দ পেশাদারিত্বের উপর পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
সবশেষে ২৪ দেশের সামরিক কর্মকর্তারা উখিয়ার কুতুপালং এ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন ও মত বিনিময় করেন। এসময় রোহিঙ্গারা প্রতিনিধি দলকে সমস্যা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দল মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র ঘুরে ঘুরে দেখেন।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ব্রিফিং করেন।
পাঠকের মতামত: