কক্সবাজার, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

সাভারে শ্রমিক-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সং*ঘর্ষ, নি*হত ১

সাভারের আশুলিয়ায় বিক্ষোভের জেরে শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছে। এছাড়া চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকার মন্ডল গ্রুপের সামনে এঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শ্রমিকের নাম কাউসার হোসাইন খান (২৭)। তিনি আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক।

দুপুর ২টার দিকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার মো. ইউসুফ আলী।

প্রাথমিকভাবে আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক হাবীব ও ন্যাচারাল ইন্ডিগো কারখানার শ্রমিক নাজমুল হাসান। বাকি আহতদের পরিচয় জানা যায় নি। গুলিবিদ্ধ দুজন পিএমকে ও দুই জনকে এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

শ্রমিকরা জানায়, সকালে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ত্রিপক্ষীয় মিটিং চলছিল। এসময় সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে অন্যান্য কারখানার শ্রমিক সেখানে জড়ো হতে থাকে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে শ্রমিকরা র্যাব ও পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গুলি চালায়। এসময় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের স্থানীয় পিএমকে হাসপাতাল ও সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এসময় এনাম মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক কাউসার হোসাইন খানকে মৃত ঘোষণা করে।

সাভার এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে আনা হয়। তাদের মধ্যে কাউসার মারা গেছেন। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে।

ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক সুমন বলেন, সকালে কারখানায় সবাই কাজ করছিলো। আমাদের কারখানায় কোনো আন্দোলন হয়নি। তবে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার সামনে আন্দোলন শুরু করলে আমাদের শ্রমিকরা সংহতি জানিয়ে সেখানে যায়। সেখানে আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা যোগ দেয়। এসময় লাঠিচার্জ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একপর্যায়ে গুলি ছুড়লে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আমি তাদের দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এছাড়া প্রায় ৩০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছে।

পিএমকে হাসপাতালের অ্যডমিন ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে চার শ্রমিককে আহতবস্থায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের পায়ে গুলি লেগেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

এ ব্যাপারে শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

পাঠকের মতামত: