কক্সবাজার, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

স্ত্রী পরিচয়ে তিন মাস ধরে রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্র থেকে ভাগিয়ে এনে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে সুবর্ণচরে এনে তিন মাস ধরে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, সুবর্ণচর উপজেলার চর আলাউদ্দিন গ্রামের মৃত আসাদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (প্রধান অভিযুক্ত) ও তার সহযোগী একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে কচি (২৭)। অপর সহযোগী কামালের পরিচয় জানা যায়নি।

এর আগে বুধবার রাত তিনটার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

পুলিশ ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে জানায়, গত তিনমাস আগে ওই কিশোরীকে দালালের মাধ্যমে সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে নিয়ে আসেন মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। এরপর তাকে একই উপজেলার খাসেরহাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাখেন। তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই যুবক প্রায় রাতেই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। এর মধ্যে শাহাদাতের বন্ধু কচিও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

সূত্র আরও জানায়, প্রায় তিন মাস তাকে আটক রাখার পর গত এক মাস আগে ভাসানচরের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এক মাস সেখানে থাকার পর বুধবার দুপুরে তাকে আবার কালাম নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে নিয়ে আসে শাহাদাত। বুধবার রাতেই বিষয়টি টের পায় স্থানীয় লোকজন। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ওই মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর আলমকে জানান। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ইউপি সদস্য নুর আলম কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে চরজব্বার থানার ওসি দেবপ্রিয় দাশ বলেন, ওই কিশোরীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী দাবি করেন তাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাখা হয় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন শাহাদাত। এ কাজে শাহাদাতকে সহায়তা করে কচি ও কালাম। এ ঘটনায় রাতে ওই কিশোরী ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। কিশোরীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর ) সকালে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: