কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আওয়ামীলীগের মাঠজরীপে আছহাব উদ্দিন মেম্বার আবারো জনপ্রিয়তার শীর্ষে

বিশেষ প্রতিনিধি::

দীর্ঘদিন পর সম্মেলন ও কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণায় বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ উখিয়া উপজেলা শাখায় রত্নাপালং ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। নতুন কমিটিতে স্থান পেতে বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। পছন্দের পদ পেতে তদবির করছেন দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে। কে হচ্ছেন সভাপতি ও সম্পাদক এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জনও।

আসন্ন ১৫ মে ২নং রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে একাদিক প্রার্থী থাকলেও মাঠ জরিপে দেখা গেছে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও অগ্রণী ভূমিকা পালনে বর্তমান সভাপতি আসহাব উদ্দিন জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন।

একজন মানুষের বড় স্বার্থকতা ও জীবনের পরম পাওয়া এবং সফলতা হলো একটি অঞ্চলের আর্থ সামাজিক কাঠামো ও রাজনৈতিক দর্শনে মানুষের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনা। একই সঙ্গে উন্নয়নে, সমৃদ্ধিতে পরিবর্তনের সেই ধারা ধরে রাখা। বলিষ্ঠ নেতৃত্বই সেই সফলতার মূল চাবিকাঠি। জনমতে রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেই সফল মানুষটি হলেন আসহাব উদ্দিন। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৫ বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি সবসময় আওয়ামীলীগের দু:খে-সুখে পাশে ছিলেন এবং এখনো আছেন। সৃষ্টি করেছেন শত শত নেতাকর্মী এমন অভিমত কাউন্সিলারদের।

তিনি ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে লালন পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করতে নিরলস ভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।
তার মাধ্যমে তিনি গড়ে উঠেন আদর্শ রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসাবে। তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ,আওমীলীগের প্রতিটি কার্যক্রমে ছিলেন সবার সামনে।

দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবত সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করায় পূণরায় নেতাকর্মীরা তাকে সভাপতি হিসেবে ফিরে পেতে চান ত্যাগী ও নতুনত্ব সৃষ্ট রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ পরিবারে। সেই সুবাধে তিনি আবারো শতভাগ আশা নিয়ে কাউন্সিলারের জনমতে সভাপতি পদে লড়ে যাচ্ছেন।

এদিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আসহাব উদ্দিন জানান, ১৯৭০-৭১ সাল যৌবনকাল থেকে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় আছি এবং ১৯৮২ সালে যুবলীগের উখিয়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। এরপর ১৯৮৯ সাল থেকে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৫ বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি।

দলের দুঃসময়ে আন্দোলন, সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো এবং স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নির্বাচন করেছি।

তিনি বলেন , আমার দায়িত্বকালীন সময়ে কাউন্সিলর তালিকায় কোন হাইব্রিড বা নব্য আওয়ামিলীগ আসতে পারেনি। যারা আওয়ামীগের দুঃসময়ে মাঠে-ঘাটে ছিল এবং দলের জন্য ত্যাগ শিকার করেছেন তারাই আজ বিভিন্ন ওয়ার্ডে সততার সাথে সরকারের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আমার নেতৃত্বকালীন সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের রত্নাপালং ইউনিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ভোট আদায় করে দিয়েছি। যার কারণে উপরের মহল থেকে শুরু করে সবাই আমাকে আবারো সভাপতি পদে চেয়েছেন বিদায় আমি প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমার জীবনে রাজনীতি থেকে কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই। লোভ-লালসা কোন কিছুই আমাকে জীবনে স্পর্শ করতে পারেনি,ইনশাআল্লাহ আশা রাখি পরবর্তী জীবনেও পারবেনা। আমৃত্যু ন্যায়-নীতি,সত্যের পথে অবিচল থেকে আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করে যাব ইনশাল্লাহ।

আওয়ামীলীগের বেশ কিছু ত্যাগী নেতাদের ভাষ্যমতে, আসহাব উদ্দিন জনতার প্রতিনিধি হিসেবে জনগনের সেবক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন,গরিব আর অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা করেছেন। এমন অনন্য চলন, স্পষ্টবাদীতা, নম্র-ভদ্র অমায়িক ভালোকে ভালো বলে পুরষ্কৃত করা, খারাপকে খারাপ বলে তিরষ্কার করার সৎ সাহস ধারণ করা, নিত্য গণমানুষের জন্য কল্যাণমুখী রাজনীতির চর্চা করা, নগদ সিদ্ধান্ত, নগদে সাফল্যে আজ তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও বেশ আলোচিত।বিশেষণ,এতো আলোচনা, এতো সাফল্য।
এগুলো তো একজন মানুষের জীবনে একদিনে অর্জিত হয় না।

বিশেষ করে নিত্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা মুখর রাজনীতির মাঠে। যেখানে পক্ষ-প্রতিপক্ষ দুইপক্ষেরই আতশ কাচের নিচে থাকতে হয় সৎ সাহসী রাজনীতিবিদকে। এখানেও একজন আসহাব উদ্দিন । তিনি রাজনীতিতে এসেছেন গণমানুষের পাশে থাকতে, তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে।

তিনি খোঁজ খবর নেন সাধারণ মানুষ, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। তিনি সময় নিয়ে, উদ্দেশ্য নিয়ে, লক্ষ্য ঠিক করে পরিকল্পনা করে গণমানুষের রাজনীতি করতে এসেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে জানান, আসহাব উদ্দিন ছাড়া রত্নাপালং ৯নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অসহায়।

তারা আরো জানান, তার উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সুতারাং আবারোও পুণরায় এই আসহাব উদ্দিনকে বিজয়ী করতে মরিয়া এখন অত্র ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের তৃণমূল থেকে সকল নেতৃবৃন্দ।

পরিশেষে তিনি বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি দলের পদবী ব্যবহার করে আমি কোন দূর্নীতি করিনি এমননি অনৈতিক ভাবে কারো কাছ থেকে এক কাপ চা খাইনি।
জনগণ আমার আর আমি জনগণের লোক।
জনগণের ভালবাসাই আমার সম্পদ। সততা ও বিশ্বাস নিয়ে আমি পথ চলতে চাই।

তাই আগামী ১৫ তারিখের সম্মেলনে আমি পূণরায় সভাপতি পদে আমার ইউনিয়নের কাউন্সিলর এবং নেতাকর্মীদের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করছি।

পাঠকের মতামত: