কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আকাশে ট্যাক্সি চালানোর শেষ পথে নাসা

এবার আকাশে ট্যাক্সি চালাবে নাসা। তার পরীক্ষাও শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। খবর নাসার।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাসা এই বিশেষ পরীক্ষা চালাবে। নাসা এই বিশেষ প্রকল্পটার নাম দিয়েছে টেস্টিং ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং, সংক্ষেপে ইভিটিএল। এই প্রকল্পটি অ্যান্ডভান্স এয়ার মোবিলিটির (এএএম) আওতাভুক্ত। আগামী শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার ইলেক্ট্রিক ফ্লাইট বেস বিগ সুনে এর চূড়ান্ত পরীক্ষার দিন ধার্য হয়েছে।

গত ১০ বছর ধরে এই প্রোজেক্টে নাসার সঙ্গে কাজ করছে জোবি অ্যাবিয়েশন নামের একটি সংস্থা। তারা এটিকে উড়ন্ত গাড়ি বলতেই বেশি অভ্যস্ত। অর্থাৎ ফ্লাইং কার। কারণ এই এয়ারক্রাফট মাটিতেও কিছুটা রাস্তা চাকায় ভর করে ছুটতে পারবে। বিভিন্ন শহরের মধ্যে এই এয়ার ট্যাক্সির পরিসেবা চালু করার স্বপ্ন দেখছে সেই সংস্থা। তবে সবটাই নির্ভর করছে ট্রায়ালের ওপর।

এই পরীক্ষা সফল হলে আগামী দিনে শহরাঞ্চলে বা আশেপাশের এলাকার আকাশপথে বিদ্যুৎচালিত এই এয়ার ট্যাক্সি চালাবে বলে পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি। এটি একটি বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য হতে পারে। এই পরিবহন মাধ্যমে মানুষ ও মালপত্র দুই সাফল্যের সঙ্গে বহন।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের আরও অনেকগুলো বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। যেমন সংশ্লিষ্ট এলাকার আকাশে কতটা এয়ারস্পেস পাওয়া যাবে বা এয়ার ট্যাক্সির লোকেশন কোথায় ইত্যাদি।

এয়ার ট্যাক্সি আকারে ছোটখাটো একটা এয়ারক্রাফট। ডাবল ইঞ্জিনবিশিষ্ট চার সিটের প্লেন। এটির মাধ্যমে যানজটে এড়িয়ে খুব সহজেই যাতায়াত করা যাবে। মেট্রো শহরগুলোতে ট্যাক্সি চালু করতে পারলে যাতায়াতের সময় প্রায় ৯০ শতাংশ কমানো যাবে।

যে এয়ারক্রাফটগুলো এয়ার ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করা হবে, সেগুলোর মোটরে একাধিক বিশেষ ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রযুক্তি থাকবে, যা আকাশসীমা মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।

পাঠকের মতামত: